বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

স্টাফ রিপোর্টার: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের টেলিভিশন স্টেশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের ডেকে সরকারের মন্ত্রীরা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে কি-না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ গুলশানের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাতের পর তার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে সুস্থ আছেন। ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফলভাবে পালনের জন্য জোটের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে তিনি অটল রয়েছেন। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অবরুদ্ধ থাকার কারণে খালেদা জিয়া বাসায় যেতে পারেননি। এখন তিনি তার বাসায় ফিরে যাবেন কি-না- এরকম প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন, অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেশনেত্রী নিজে দিয়েছেন। এটি তার অফিস। অফিসে তার কাজ রয়েছে। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে তিনি এখানে অবস্থান করবেন।

শওকত মাহমুদ বলেন, মিডিয়ার ওপর নতুন করে সেন্সরশিপ আরোপ করা হচ্ছে। যাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা জানতে না পারে। আজকে (বৃহস্পতিবার) টেলিভিশন চ্যানেলে মালিক ও প্রতিনিধিদের ডেকে মন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। মালিকদের ডেকে পরামর্শের নামে মন্ত্রীরা ভদ্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আলাপকালে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের সেন্সরশিপের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের এ রকম হুঁশিয়ারিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কার্যালয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অব.) আবদুল মজিদ ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা রয়েছেন।