ঢাকা-কোলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী ট্রেনের আরো দুটি ট্রিপ বাড়ছে

দর্শনা অফিস: ঢাকা-কোলকাতা চলাচলকারী একমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসের আরো দুটি ট্রিপ বাড়ছে আজ রোববার থেকে। ফলে এখন থেকে সপ্তায় ৬ দিন চলাচল করবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। এর আগে সপ্তায় ৪ দিন চলতো। অর্থ্যাত শুক্র ও বুধবার ঢাকা থেকে কোলকাতা যেতো আর শনি ও মঙ্গলবার কোলকাতা থেকে ঢাকায় আসতো। মৈত্রী ট্রেন এখন থেকে থেকে শুক্র, সোম ও বুধবার কোলকাতা যাবে এবং শনি, রবি ও মঙ্গলবার কোলকাতা থেকে ঢাকায় আসবে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন মাস্টার মীর মো. লিয়াকত আলী জানান, ‘মৈত্রী ট্রেনের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিযাত্রায় গড়ে ৪ শতাধিক যাত্রী যাতায়াত করছে। এরই প্রেক্ষিতে দু দেশের রেলওয়ের সিদ্ধান্তে মৈত্রী ট্রেনের আরো দুটি ট্রিপ বাড়ানো হয়েছে। এতে ভারত-বাংলাদেশের দু দেশের মৈত্রীর বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের মৈত্রী এক্সপ্রেসের র‌্যাক কম্পোজিশনে ৭টি বগিতে ৪’শ ১৮টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে এসি সিট ৩৬টি, এসি চেয়ার ৮০টি ও শোভন চেয়ার রয়েছে ৩’শ ২টি। অন্যদিকে ভারতীয় কম্পোজিশনের ৭টি বগিতে মোট আসন সংখ্যা ৪’শ ৫৯টি। এর মধ্যে এসি সিট ২৭, এসি চেয়ার ১’শ ৪৬ এবং শোভন চেয়ার রয়েছে ২’শ ৮৬টি।

বর্তমানে মৈত্রী ট্রেনের টিকিটের মূল্য রয়েছে এসি সিট ২০ ডলার সাথে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট। এসি চেয়ার ১২ ডলার সাথে ১৫ ভাগ ভ্যাট এবং শোভন চেয়ার ৮ ডলার সাথে কোনো ভ্যাট নেই। মৈত্রী ট্রেন ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে কলকাতার চিতপুর স্টেশনে গিয়ে থামে। আবার কোলকাতার চিতপুর থেকে ছেড়ে এসে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থামে। পথিমধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দর্শনা রেলস্টেশনে ১ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে যাত্রীদের কাস্টম-ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে। আবার যাত্রীদের কাস্টম-ইমিগ্রেশনের জন্য ভারতের সীমান্তবর্তী গেঁদে রেলস্টেশনে দেড় ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-কোলকাতার মধ্যে একমাত্র যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়।