চুয়াডাঙ্গার ফুরশেদপুর গ্রামে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

ছোট স্ত্রীসহ অনেকেরই গাঢাকা

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার হরিশপুর গ্রামে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহত গরুব্যবসায়ী নাসিরের পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে ছোট স্ত্রী বুলুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় গাঢাকা দিয়েছে। অনেকেই ছোট স্ত্রীর পরিবারের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের আবু বাক্কা অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে আমার ছেলে নাসির উদ্দিনকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়াসিনের মেয়ে একাধিকবার স্বামী পরিত্যক্তা বুলু বাড়িতে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে তার লোকজন দিয়ে আমারই পুকুর পাড়ে রেখে যায়। পরের দিন সকালে মাঠের লোকজন দেখে বাড়িতে খবর দেয়। তার পায়ের নিকট দুটি স্যান্ডেল পাশাপাশি রাখা আছে। গ্রামগুঞ্জে অভিযোগ উঠেছে, নাসিরকে বালিশচাপা অথবা অন্ডকোষে আঘাত করে মুখে বিষ ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পরে পুকুরের ধারে রেখে আসা হয়ে থাকতে পারে। এদিকে বুলুদের বাড়ির পাশের আমবাগানে গত শনিবার সকালে ধস্তাধস্তির নমুনা দেখেছে অনেকেই। নাসিরে গায়ে শীতের পোশাক থাকায় শরীরে দাগ পড়েনি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে। গ্রামবাসী আরও জানায়, বছর কয়েক আগে বুলুর খালা এবং মামা ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে তার খালুকে হত্যা করেছিলো। সেই বিষ মাখানো ভাত খেয়ে গ্রামের অনেক হাঁস-মুরগি ওই সময় মারা গিয়েছিলো। এদিকে বুলু ৫/৬টি বিয়ে করেছেন। সর্বশেষ নাসিরের সাথে। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই মামলা করে ওই সমস্ত পুরুষের নিকট থেকে হাতিয়ে নিতো মোটা অঙ্কের টাকা। নাসিরের পরিবারের লোকজন ১ লাখ টাকা না দেয়ায় কয়েকদিন আগেও বুলু মামলা করেছে। যা নিয়ে গ্রামে এবং ইউনিয়ন পরিশোধে সালিস হলেও তার সমাধান হয়নি।

এদিকে নিহত নাসিরের ছোট স্ত্রী বুলুসহ তার নিকটাত্মীয় কয়েকজন গাঢাকা দিয়েছে। নাসিরকে যদি কেউ হত্যা করে থাকে তাহলে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটা যেমন গ্রামবাসী চাই, তেমনি সে যদি নিজে আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে নিরপরাধ ব্যক্তিরা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় তেমনটাও দাবি তাদের। ৫ সন্তানের জনক নাসিরকে প্রায় ছোট স্ত্রী বুলু মারপিট করতো এবং তালাক দেয়ার জন্য চাপ দিতো বলে নিহত নাসিরের বড় বোন জানান। এ ঘটনায় নিহত নাসিরের পিতা বাক্কা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন। এখন অপেক্ষার পালা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত।