মেধাবী তরিকুলের পাশে জেলা প্রশাসক ও আশা’র প্রেসিডেন্ট

মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের পরও অনিশ্চয়তা কাটাতে সহযোগিতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেডিকেল কলেজ ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের পরও অনিশ্চয়তার মধ্যে হাবু-ডুবু খাওয়া মেধাবী তরিকুলের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে শুরু করেছেন অনেকে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও আশা’র প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শুধু আর্থিক সহযোগিতাই করেননি, অন্যদেরকেও তরিকুলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা’র প্রেসিডেন্ট সফিকুল হক চৌধুরী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মেধাবী ছাত্র তরিকুল ইসলামকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনুদান হিসেবে ১৮ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের নিজ অফিসকক্ষে এ অনুদানের টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক ও আশা’র কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিন হাজার টাকার চেক শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া একই সময়ে আশা’র প্রেসিডেন্ট সফিকুল হক চৌধুরীর পাঠানো নগদ ১৫ হাজার টাকা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন তরিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। আশা’র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার এসএম আবু দাউদ, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কাজী ফজলুল হক, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মহাবুব রশীদ ও হাফিজ আলী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হেদায়েতুল ইসলাম ৫ হাজার টাকা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা তরিকুলকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

মেধাবী ছাত্র তরিকুল ইসলাম ও তার মা রাশিয়া বেগমের নামে চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে একটি হিসাব নম্বর খোলা হয়েছে। হিসাব নম্বরটি হলো- ১৯১১২২৯৯৭। যারা সহযোগিতা করতে আগ্রহী তারা এ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গার দিনমজুর গিয়াস উদ্দীন ও রাশিয়া বেগমের ছেলে মেধাবী ছাত্র তরিকুল ইসলাম ২০১৪ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির যোগত্যা অর্জন করায় সমাজের বিত্তবান মানুষেরা পড়ালেখার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন।