শাহনেওয়াজ খান সুমন: ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার ২০ বছর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনবল অনুমোদন দিয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থায়ী পদ সৃষ্টি হওয়ায় ১৮ ডাক্তারসহ হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক পোস্টিং দেয়া হবে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৯০ সালের দিকে শহরের ছবিঘর সিনেমা হলের পশ্চিম দিকে ব্রিটিশ আমলে ১০ শয্যার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭০ সালে হাসপাতালটি লোকালয় থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে হামদহ এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৪ সালে সরকার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করে। তখন থেকে শুধু বেড, খাবার ও ওষুধ ছাড়া প্রয়োজনীয় জনবল ছিলো না। ফলে জেলাবাসী হাসপাতালটি থেকে এতো দিন ১০০ শয্যা উপযোগী সেবা পায়নি। গত বছরের ৮ অক্টোবর সদর হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি ৫০ শয্যা জনবলের ডাক্তারের ৯টি পদের মধ্যেও সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, শিশু, চক্ষু ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি এবং রেডিওলোজি পদে কোনো ডাক্তার ছিলো না। ফলে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় এক নাজুক পরিস্থিতি চলছিলো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত ৪৫.০১৫.০১৫.০০.০০.০২৯.২০১২/৪৭৯/১(৬) নম্বর স্মারকের এক পত্রে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে ঝিনাইদহ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮ জন ডাক্তারসহ হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের স্থায়ী পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদে সার্জারি, কার্ডিওলোজি, অর্থোপেডিক ও ইএনটি বিভাগে একজন করে মোট চারজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং মেডিসিন, গাইনি, শিশু, অ্যানাসথেশিয়া, চর্ম ও যৌন বিভাগে একজন করে মোট ছয়জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, আটজন ইনডোর মেডিকেল অফিসার এবং একজন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক পোস্টিং পাবেন। এ খবরের সত্যতা জানতে চাওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম কামাল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এতে চিকিৎসার মান বাড়বে।
তবে জেলাবাসী আশা করে একদিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। তাই ডাক্তার পোস্টিঙের পাশাপাশি নার্স, আয়া, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেই সাথে রোগী থাকার জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ড ও বেড বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ জেলার ১৮ লাখ মানুষের এ হাসপাতালে রোগী ধারণক্ষমতা অনেক কম। প্রতিদিন শ শ মহিলা ও শিশুসহ রোগী মেঝেতে গড়াগড়ি করে। কর্তৃপক্ষ তাদের বেড দিতে পারে না।