গাংনী প্রতিনিধি: নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে স্বামী জসিম উদ্দীনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামে। গতকাল সোমবার দুপুরে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন স্ত্রী পারুলা খাতুনের (২৩) গর্ভপাতের পর গ্রেফতার হয় স্বামী। জসিম উদ্দীন গোপালনগর গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে।
গৃহবধূ পারুলা খাতুন জানান, ৯ মাস আগে তাদের বিয়ে হওয়ার পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত শুক্রবার বিকেলে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজান তাকে মারপিট করে। আহত অবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বিকেলে তার গর্ভপাত হয়।
গর্ভপাতের খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বীকারোক্তি নিয়ে গাংনী থানার এসআই সুশান্ত কুমার জসিম উদ্দীনকে গতকাল নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। পারুলা বাদী হয়ে গতকালই থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও দণ্ডবিধির ৩১৬ ধারায় তিনি অভিযোগ উত্থাপন করেন। স্বামী জসিম উদ্দীন, শ্বশুর গঞ্জের আলী ও শাশুড়িকে আসামি করা হয়। মামলা রেকর্ডের পাশাপাশি নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হবে বলে গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে।
তবে জসিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, পারুলাকে নির্যাতন করা হয়নি। যৌতুকও চাওয়া হয়নি। সংসারের পূর্ব অশান্তির জের ধরে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানান, আজ জসিম উদ্দীনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।