মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ রুম বিশিষ্ট ভবন দখল করে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গাছের নিচে শিক্ষাদান চললেও বর্ষার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস। পুলিশ ফাঁড়ি করার জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে জমি কিনে দিলেও শিক্ষাকেন্দ্র দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। স্কুলটি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৬৪ সালের পর থেকে কোনো নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর ৩৮ নং পাঁচকমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ রুম বিশিষ্ট ভবন দখল করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি। ২০০৮ সালে স্কুলের ভবন দখল করে গড়ে ওঠা কর্তৃপক্ষ সরিয়ে না দেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছের নিচে ক্লাস করাতে হয়। ৮টি ক্লাসরুমের মধ্যে ৪টি রুম দখল করে গড়ে উঠেছে পুলিশ ফাঁড়ি। একটি রুমে অফিসকক্ষ ও একটিতে চলে ক্লাস। গত বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক স্কুল পরিদর্শনে এলে সেটাও পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। বাকি ২টি রুমে দুটি শ্রেণির ক্লাস চললেও বাকি শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের গাছের নিচে ক্লাস করাতে হয়। এছাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ৪টি রুমের সামনের বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। জায়গা স্বল্পতায় স্কুলের অ্যাসেম্বিলি হয়না। ফাঁড়ি পুলিশ কোনো আসামি ধরে আনলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ক্লাস বাদ দিয়ে আসামি দেখতে যায়। অন্যদিকে পুলিশের ডিউটিরত পুলিশ সদস্য বিড়ি সিগারেটের ধোয়া ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। স্কুলের শিক্ষিকারা খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের সময় পুলিশ সদস্যদের আসা-যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়া স্কুলের মধ্যে বাইরে থেকে লোকজন আসা যাওয়ার ঘটনা পাঠদান ব্যাহত করে।বর্তমানে স্কুলে ২৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে পাঠদান। এলাকাবাসী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।