ধর্ষণের লজ্জায় ভারতের মাথা হেট: মোদী

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রধানমন্ত্রী নয়, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জাতির ‘প্রধান সেবক’ হিসাবে সামনে এসে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নিজের লজ্জাআর হতাশার কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী।ধর্ষণ বন্ধে পরিবারের ছেলে সন্তানদের শাসনে রাখার পাশাপাশি জনগণ ও চিকিৎসকদের প্রতি মেয়ে ভ্রূণ হত্যা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।শুক্রবারনয়াদিল্লির লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পূর্বসূরি সব সরকার ওপ্রধানমন্ত্রীকে দেশের উন্নয়নের জন্য ধন্যবাদ জানান ভারতের বর্তমানপ্রধানমন্ত্রী। সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর স্বাধীনতা দিবসে এটাই ছিলো তারপ্রথম ভাষণ।
লাল কেল্লার সামনেপ্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে এ সময় বুলেটবিরোধী কোনো ব্যবস্থা ছিলো না, ভারতের গতকয়েক দশকের ইতিহাসে যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।গেরুয়া পাগড়ি আর ঘিয়েরঙের ফতুয়া পরিহিত মোদী যখন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশেবক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তার হাতে লিখিত কোনো খসড়াও ছিলো না।তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে ভারতবাসী সবার প্রতি প্রধান সেবকের শুভেচ্ছা।প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, আজ আমি আপনাদের সামনে এসেছি প্রধান সেবক হিসাবে।মোদীবলেন, একটি সাধারণ দরিদ্র পরিবার থেকে এসে একজন লোক আজ লাল কেল্লায়দাঁড়িয়ে জাতির সামনে ভাষণ দিচ্ছে- এই কৃতিত্ব ভারতীয় গণতন্ত্রের।ভারতের উন্নয়নে আগের সরকারগুলোর অবদান স্বীকার করে নিতেও কুণ্ঠা বোধ করেননি গত নির্বাচনে চমক দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা এই বিজেপি নেতা।
তিনিবলেন, ভারতের উন্নয়নে অতীতের প্রতিটি সরকারের অবদান রয়েছে। রাজ্যসরকারগুলোও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। অতীতে সব সরকার, সব প্রধানমন্ত্রীকেআমি এজন্য সম্মান জানাতে চাই। গত নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এর ভিত্তিতে দেশ শাসন করতে চান না বলে জানান মোদী।তিনিবলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতেচাই। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষমতায় আমরা বিশ্বাসী নই, আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতেচাই। প্রধানমন্ত্রী নয়, সব কৃতিত্ব এমপিদের এবং বিরোধী দলের।  গুজরাটের দাঙ্গার কারণে বহু বছর ধরে সমালোচিত এই বিজেপি নেতা সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধের জন্যও ভারতবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।তিনিবলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বহু নজির দেখে আসছি। এরশেষ কোথায়?বর্ণ প্রথাই হোক বা সাম্প্রদায়িক বিরোধ- এসব ঘটনা জাতির উন্নয়নবাধাগ্রস্ত করছে।গত কয়েক বছর ধরে ভারতে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নিজের হতাশার কথাও জাতির সামনে তুলে ধরেন মোদী।  তিনিবলেন, লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে যায়… । ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে আমাদেরবাবা-মায়েরা মেয়েদের শাসনে রাখেন। কিন্তু তারা কি নিজের ছেলেদের শাসনকরছেন? যে ধর্ষণ করছে, সে তো কারো না কারো ছেলে। আমরা কি জানিআমাদের ছেলেরা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে?ছেলে-মেয়ে সবাইকে কেন আমরা একমাপকাঠিতে দেখবো না?