চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কমলেও শূন্যে নামেনি রোগীর সংখ্যা

 

পূর্বাবস্থায় ফিরেছে হাসপাতালের চিকিৎসক সেবিকাদের দায়িত্ব

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ হ্রাস পেলেও চিকিৎসদের প্রত্যাশা মোতাবেক রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামেনি এখনও। গতকাল মঙ্গলবারেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ২৪ জন। এ দিয়ে গত ১ আগস্ট থেকে চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছুয়েছে।

ডায়রিয়ার প্রকোপ হ্রাস পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বিশেষে রিকোজেশনে দায়িত্বপালন করা সেবিকা ও চিকিৎসকদের গতকাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সেবিকাদের দু শিফটে ১২ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালনের স্থলে পূর্বের মতো তিন শিফটে ৮ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালনের জন্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ডায়রিয়া রোগীসহ ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে গতকাল বিকেলে অবশ্য সেবিকাদের নাকানি চুবানি খেতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর কর্তৃপক্ষ পূর্বের মতো গতকাল থেকে সরবরাহকৃত পানি ব্যবহারের জন্য বললেও অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না। অধিকাংশই টিউবওয়েলের পানির দিকেই ঝুঁকছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ফুটিয়ে ও বিশুদ্ধকর ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধ করে পান করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে সংগৃহীত পানির পরীক্ষার রিপোর্ট গতকালও প্রকাশ করা হয়নি। সিভিল সার্জন বলেছেন, পানি পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা পর্যায়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এলাকাবাসীকে কোনো ধরনের ম্যাসেজ দেয়া যায় তা ভাবতে হচ্ছে আমাদের। এখনও যেহেতু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামেনি, সেহেতু সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে তা আমরা ধরে নিতে পারছি না।

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণে পূর্বে গঠিত মেডিকেল টিমকেও বিশেষ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ থেকে দুটি মেডিকেল টিম নেয়ার পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বেশ কয়েকজন নার্স নিতে হয়েছিলো। তাদেরকে মঙ্গলবার থেকে পূর্বের কর্মস্থলে স্বপদে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।