গাংনীর কচুইখালী-দিঘলকান্দি কবরস্থান নিয়ে বিরোধ এমপির হস্তক্ষেপে নিরসন

 

গাংনী প্রতিনিধি: কবরস্থানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কচুইখালী ও দিঘলকান্দি গ্রামের মানুষের মাঝে চলমান বিরোধ অবশেষে নিরসন হয়েছে। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনর হস্তক্ষেপে গতকাল মঙ্গলবারবিকেলে বিরোধ মীমাংসা হয়। দ্বন্দ্ব ভুলে দুগ্রামের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বিরোধের জেরে গত ৩০ মার্চ দুগ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়।চলমান বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে হস্তক্ষেপ করেন এমপি মকবুল হোসেন। গতকাল মঙ্গলবারবিকেলে দিঘলকান্দি গ্রামের কিসমত আলী, ওলিয়ার রহমান ও কচুইখালী গ্রামের খোকন মিয়ার নেতৃত্বে দুপক্ষের লোকজন মকবুল হোসেনের গাংনীস্থ বাসভবনে আসেন। আলাপ-আলোচনায় উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। এমপির মধ্যস্থতায় প্রতিবেশী গ্রামের মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবেন এবং কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা হবে মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ ও ধানখোলা ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দিঘলকান্দি ও কচুইখালী পাশাপাশি দুটি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই দিঘলকান্দি গ্রামের গোরস্থানে মরদেহ দাফন করলেও কয়েক বছর আগে কচুইখালী গ্রামের মানুষ বেশ কিছুদিন আগে আলাদা একটি গোরস্তান তৈরি করেন। নতুন গোরস্তানের খরচ বাবদ ৩০ মার্চ ভোরে পুরাতন গোরস্তানের কিছু গাছ কেটে আনতে যায় কচুইখালী গ্রামের লোকজন। এরই জের ধরেই দু গ্রামের মানুষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয় গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।