স্টাফ রিপোর্টার: আগামীকাল শনিবার হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গায় ফিরছেন। এদিন দুপুর দেড়টায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করবেন। বিকেলে ফিরবেন নিজ বাসবভনে। পরদিন রোববারের কর্মসূচি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হবে। ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন।
কর্মসূচিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শিশু-কিশোর র্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন হুইপ। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীমন্ত টাউন হলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নিজ বাসভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন। ১৮ মার্চ নিটল টাটা কোম্পানির মেলা উদ্বোধন করবেন। ১৯ মার্চ স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে জানানো হবে। ২০ মার্চ ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষপুতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ২১ মার্চ চুয়াডাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুম্মার নামাজ আদায় করবেন। বিকেল ৩টায় আলমডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ২২ মার্চের কর্মসূচিও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হবে। ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। সন্ধ্যায় শ্রীমন্ত টাউন হলে আয়োজিত অলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ২৭ মার্চের কর্মসূচিও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হবে। ১ এপ্রিল তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদজমা গ্রামে গলায় ট্যাবলেট বিধে বিপত্তি
৪ বছরের শিশু নীরবের মর্মান্তিক মৃত্যু (ছবি)
স্টাফ রিপোর্টার: ওষুধ গলায় বিধে চিরতরে নীরব হয়ে গেলো মোহাম্মদজমা গ্রামের শিশু নীরব। গতকাল সকালে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে। মা নীলা বেগম একত্রে কয়েকটি ট্যাবলেট এক সাথে খাওয়ানোর সাথে সাথেই নীরব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নীরবের আকস্মিক এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদজমা মাঝের পাড়ার দরিদ্র ভ্যানচালক মানোয়ার হোসেনের একমাত্র সন্তান নীরব রহমানের বয়স ৪ বছর। গত দুদিন আগে নীরবের পিতা মানোয়ার হোসেন (৩০) ও নীরব জ্বলে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধও আনা হয়। তবে ছেলে এবং বাবা একই ওষুধ খাচ্ছিলো। মানোয়ার হোসেন গতকাল সকালে ভ্যান নিয়ে রোজগারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। যাওয়ার সময় স্ত্রীকে বলে যান নীরবকে ওষুধগুলো খাইয়ে দিতে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে কয়েকটি বড় বড় ট্যাবলেট একত্রে ছেলে নীরবের গালে দিয়ে খেতে বলেন মা নীলা বেগম। নীরব গালে নিয়ে গিলতে গেলে ট্যাবলেট গলায় বিধে যায়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় নীরব মারা যায়।কেউ কেউ বলেছেন, গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার আব্দুল রশিদের নিকট নিলে তিনি অ্যাজিথ্রমাইসিন–৫০০ মিলি গ্রাম হাপ করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।সকালে ওই ওষুধ সেবন করানোর কিছুক্ষণ পরই বুকে ব্যথা অনুভব করে নীরব। এর ১০ মিনিট পরই তার মৃত্যু হয়।
একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে শোকে হতবিহবল হয়ে পড়েন পিতা-মাতা। নীরবের আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা ছুটে আসে নীরবকে দেখতে। দেখতে আসে নীরবের খেলার সাথিরা। সবার চোখেই পানি। অনেকেই বলছেন পিতা-মাতার অসাবধানতাই মৃত্যুর কাল হলো নীরবের। ট্যাবলেট না খাইয়ে তাকে সিরাপ খাওয়ানো উচিত ছিলো বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।