পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে শোকসভার অনুমতি পায়নি বলে বিএনপির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ‍বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার শান্তি চেয়ে ও তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে শোকসভা করতে চেয়েছি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সভা করতে সরকারের কাছে লিখিত অনুমতি চেয়েও পাইনি। ফখরুল বলেন, যারা দেশকে দুর্বল দেখতে চায়, তারাই পিলখানা ট্র্যাজেডি ঘটিয়েছেন। নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ অনেককেই রাজনৈতিক উদ্দেশে জড়ানো হয়েছে। অথচ এতে জড়িত অনেকেই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, মূল অপরাধীদের আড়াল করতে দ্রুত বিচারকাজ চলেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনসত্ত্বাকে ধ্বংস করতে পিলখানায় এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রতিবছর এ দিনটি আমরা পালন করি। বীর সেনা, যারা সেদিন শহীদ হয়েছিলেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। প্রতিবার সরকারের পক্ষ থেকে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। তিনি দেশের কলঙ্কজনক একটি অধ্যায় হিসেবে পিলখানা ট্র্যাজেডিকে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের নিহত হওয়া সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা ও সীমান্ত অরক্ষিত করার চেষ্টা বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ শোকের দিনে খেলার উদ্বোধনের নামে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তার নিন্দা ও সমালোচনা করেন ফখরুল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) হাফিজুর রহমান, দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) সাইদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা ও চুয়াডাঙ্গা বিএনপির অন্যতম নেতা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, বিএনপির সহদফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মহিলাদলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।