ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

 

প্রায় সকল পদেই একাধিক প্রার্থী : গঠনতন্ত্র সংশোধন করেই নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির নির্বাচন হয়নি। গঠনতন্ত্র সংশোধনীর পরই নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিতরা গতকাল শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটিই বহাল থাকবে। তবে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে কয়েজন সদস্য জানিয়েছেন, ছয় মাস নয়, তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সাধরণ সভা গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা শাহাবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সহসভাপতি ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মীর্জা শাহরিয়ার লন্টু। তিনিই বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। মঞ্চে অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সালাম প্রমুখ। বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন দফতর সম্পাদক শেখ মহিত উদ্দীন, আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন সহসভাপতি জহির উদ্দীন। শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার। অধিবেশনে ডায়মন্ড ওয়াল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমারসহ সমিতির সদস্য এবং ছাত্রদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে উঠে আসে নতুন কমিটি প্রসঙ্গ। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অধিকাংশ পদেই একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র পেশ করায় গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনিবার্য হয়ে ওঠে। অথচ সমিতির গঠনতন্ত্রে গোপন ব্যালটে ভোটের বিষয়টি পরিচ্ছন্ন না থাকায় নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের অ্যাড. বখতিয়ার হোসেন, অ্যাড. মীর কাশেম উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকষর্ণ করে প্রতিকারে মন্তব্য জানতে চান। এক পর্যায়ে জানানো হয়, যেহেতু সমিতির গঠনতন্ত্রে নির্বাচন বিষয়ে সংশোধনী প্রয়োজন, সেহেতু এক মাসের মধ্যে সংশোধন করে নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটিই বহাল থাকবে। তবে তা কোনোভাবেই ছয় মাসের অধিক নয়। অবশ্য সময়ের বিষয়ে কয়েকজন সদস্য বলেছেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনসহ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তিন মাসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সভাপতি ড. মাহবুব হোসেন অসুস্থ। তিনি চিকিৎসাধীন। ফলে তার অবর্তমানে সমিতির সহসভাপতি ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী গতকালের সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন। ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী আসন্ন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন। এ পদে আরো কয়েকজন প্রার্থিতা দাখিল করেছেন বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকালে সমঝোতার বিশেষ উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রস্যু না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন করে গোপন ব্যালটে ভোটের দিকেই গড়াচ্ছে নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া।