জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় সংস্কারের নামে চলছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং ॥ গ্রাহক হয়রানি

নারায়ণ ভৌমিক: বৈদুতিক খুঁটি, তার ও সরঞ্জামাদি সংস্কার কাজের নামে মাসের পর মাস চলছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির টানা লোডশেডিং। জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘ ৪ মাস যাবত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা লোডশেডিংয়ের পর রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিয়ে চলছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গ্রাহক সেবা। এছাড়াও গাছ কাটা, কেভি তোলা, লাইনের ফল্ট ও বিভিন্ন অজুহাতে চলছে গ্রাহক হয়রানি। প্রচ- ভ্যাপসা গরমে প্রতিদিন টানা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মিল, কলকারাখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসা বানিজ্য ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদ্যুত না থাকার অজুহাতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘœ উঠেছে। অফিস, ব্যাংক, বীমা, স্কুল, কলেজ, কৃষি কাজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম ব্যহত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় কাজে গণ হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজ বিনষ্ট হচ্ছে। নামাজের ওয়াক্তে মুসল্লিদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার অর্থনীতি দিন দিন ভেঙে পড়েছে। সিডিউল মোতাবেক কাজ না করায় অনিয়মের মাধ্যমে মাত্র ৬/৭জন লোকবল দিয়ে মাসের পর মাস খুড়িয়ে খুড়িয়ে সংস্কার কাজ করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রূপালী ট্রের্ডাসের ঠিকাদার আশরাফুল আলম প্রিন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানান, গ্রাহক হয়রনির কারণে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি যাতে কোনো কাজ না পায় তার জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এরই প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে আন্দুলবাড়িয়া এলাকার শ,শ বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকগণ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে স্থানীয় দোয়েল চত্বরে প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন। বাজার কমিটির সভাপতি মির্জা হাকিবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট আর্থিক সুবিধা নিয়ে টানা লোডশেডিং দিয়ে এলাকার জনগণকে বিক্ষুদ্ধ করে তোলার অভিযোগ তুলে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের কোনো যড়যন্ত্র রয়েছে কি-না তা তিনি তদন্তের দাবি করেন। আগামী শুক্রবারের মধ্যে সংস্কার কাজের নামে অবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধ ও হি¯্রা অনুয়ায়ী আন্দুলবাড়িয়া এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ করা না হলে বিদ্যুত অফিস ঘেরাওসহ বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তরা ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাথাভাঙ্গা এ প্রতিবেদককে বলেন, জরাজীর্ণ লাইনটি সংস্কারে সাময়িক গ্রাহক হয়রানি হচ্ছে। আগামী বুধবারের মধ্যে যাতে সংস্কার কাজ সম্পূর্ন হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট কর্তৃপক্ষ আর্থিক সুবিধা নিয়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।