প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর আরও একটি সাফল্য

মৃত্যুশয্যার মজনু বিশ্বাস এখন সুস্থ
স্টাফ রিপোর্টার: মাঠে চাষের কজে কোদাল চালাতে গিয়ে মজনু বিশ্বাসের মাজায় সামান্য চোট পুরো জীবনটাকেই যেনো অচল করে দিয়েছিলো। দু পায়ে দাড়ানোতো দূরের কথা তা শুকিয়ে শয্যাগত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুণছিলেন অনিশ্চয়তার প্রহর। দেশের বহু চিকিৎসক, চিকিৎসা কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে যখন অনেকটাই নিশ্চিত যে, তিনি আর সুস্থ হয়ে ওঠবেন না, তখনই দৈনিক মাথাভাঙ্গার মাধ্যমে জানতে পান চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রখ্যাত অর্থোপেডিক ট্রমা ও স্পাইন সার্জন প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর গুণের কথা।
প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী ঢাকায় থাকলেও সপ্তাহের প্রায় প্রতি শুক্রবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের পূর্বের বনলতা ভবন বর্তমানের ডা. মেহেদী টাওয়ারে রোগী দেখেন। ৫৫ বছর বয়সী মজনু বিশ্বাসকে তার নিকটজনেরা চিকিৎসকের এ চেম্বারে নেন। রোগীর বিস্তারিত শুনে প্রথমেই চিকিৎসক বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর অবহেলায় কেটে গেছে দুটো বছর। অনেক দেরি হয়ে গেছে। তারপরও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। এমআরআইসহ যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় কোমরের হাড্ডি সরে শিরায় পড়েছে চাপ। সেই সামান্য চোট শিরায় রক্তচলাচল আটকে দেয়ার কারণে যন্ত্রণা তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে। শুকিয়ে গেছে অনেক কিছুই। ফলে অপারেশন জরুরি। কিন্তু রোগীর ডায়বেটিক, রক্তের উচ্চচাপসহ নানা সমস্যা। এসব নিয়ন্ত্রণে নিয়েই তবে অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। কেননা, মেরুদ-ের ওই অস্ত্রোপচার শুধু ব্যয়বহুলই নয়, জটিল। দীর্ঘ সময় ধরে জটিল অপারেশন করতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ার মুকার উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে মজনু বিশ্বাস একেতো দরিদ্র কৃষক। তারপর দীর্ঘ দু বছর ধরে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ঘুরে খরচ হয়েছে বহু। এখন জটিল অস্ত্রোপচারের ব্যয়বহন করবে কীভাবে? প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী দীর্ঘদিন ধরেই গরীবের বন্ধু হিসেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মজনু বিশ্বাসের জন্যই তিনি হলেন উদার। অপারেশন করা হলো। তিনি এখন সুস্থ। প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর এ ধরনের সফলতার সংখ্যা অনেক। তিনি মজনু বিশ্বাসের সুস্থতা দেখে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ সফলতাকে উৎস্বর্গ করেছেন মরহুম মাতা পিতার প্রতি। তিনি বলেছেন, জীবনের বাকি সময়গুলো আরও বেশি বেশি করে যাতে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি সেজন্য চুয়াডাঙ্গাসহ দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশী।