জীবননগর উপজেলার কেডিকে ও আন্দুলবাড়িয়ায় আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার কেডিকে ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর ফুটবল মাঠে ও বিকেল ৩টায় আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে কেডিকে ইউনিয়নে আব্দুস শুকুর সরকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল বাসার শিপলু ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারকে সভাপতি ও শেখ মহিদুল ইসলাম মধু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। কেডিকে ইউনিয়নে আব্দুস শুকুর সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর। কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জামায়াত-বিএনপি চক্র ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছে। আল্লাহুতলা তাকে রক্ষা করায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। যে গ্রেনেড নিয়ে তারা হামলা করেছিলো, সেই গ্রেনেড ক্যেন্টমেন্ট থেকে এসেছে। তারা বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসেছিলো। আজ শেখ হাসিনা বিশ্বের রোল মডেল। কিভাবে দেশের উন্নয়ন করতে হয়, তা আমাদের নেত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন। যে বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি বলতো, আজ বিশ্ববাসী নেত্রী উন্নয়ন দেখে বলছে এ কিভাবে সম্ভব। বিদেশী সাহায্য ছাড়া আজ পদ্মসেতু হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার এক কলমের খেচাঁয় ৩৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করছেন। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে এখন ফখরুল বলছেন, ঈদের পর, পূজার পর, কোরবানি ঈদের পর আন্দোলন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। আন্দোলন করতে না পেরে তারা এখন, বিদেশীদের নিকট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাজি আলী আজগার টগর বলেন, আগাছা, পরগাছা, পাতি, হাইবীডসহ ভোটের সময় যাদের দেখা পাওয়া যাবে না, তাদের আজকের এই কমিটিতে কোনো ঠাঁই হবে না। যারা ২৬ বছর ক্ষমতায় ছিলো তাদের সময় উন্নয়নের চিত্র দেখুন, আর আমরা মাত্র ১৬ বছরে কি কি উন্নয়ন করেছি, তা দেশের জনগণকে দেখিয়ে দিয়েছি। আগামীতে একটি সুখী সম্মৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল দেশ আমরা জাতিকে উপহার দেবো। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে, তবে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে। পৃথক পৃথক সম্মেলন উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন মিয়া, সহসভপতি নজরুল মল্লিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, মাসুউ-উদ জামান লিটু, প্রধান বক্তা ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোহা. আব্দুল রতিফ অমল, মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগসহ নবনির্বাচিত বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওর্য়াড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান দুটি উপস্থাপনা করেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান আব্দুস সালাম ঈশা।