৯ বছর পর ইবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভুয়া কোটায় ভর্তির অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মাহফুজ মাসুদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৯ বছর আগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে শ্রবণ প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে কমিটি করেছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করতে দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, তৌকির মাহফুজ মাসুদ ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হন। তিনি প্রথম বর্ষের একটি কোর্সে ফেল করেন। পরবর্তীকালে পুনঃপরীক্ষা না দেয়ায় এখন পর্যন্ত সম্মান (স্নাতক) শেষ করতে পারেননি।
এদিকে তদন্ত কমিটি হওয়ার পর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, তৌকির মাহফুজ মাসুদ, মিজানুর রহমান লালনসহ নেতারা ভিসির সঙ্গে দায়িত্বে থাকা প্রো-ভিসির সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা তদন্ত কমিটির জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান। একই সঙ্গে ইতিপূর্বে শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচরী যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অতিদ্রুত তদন্ত কমিটি করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় ভিসি ক্যাম্পাসে না ফেরা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেন।
এসময় সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী ভিসি ক্যাম্পাসে ফিরে না আসা পর্যন্ত আপাতত কার্যক্রম স্থগিত রাখার চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে তৌকির মাহফুজ মাসুদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। এর পূর্বেও অনেকের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় ছাত্রলীগ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।