মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস না অন্য কিছু!

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের নাসির হোসেন জরুরি কাজে এসেছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। ঠিকানা ও স্থান সবই ঠিক আছে। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না অফিসটি। একই জায়গায় বারবার ঘোরাফেরা কিন্তু অফিসের দেখা মিলছে না। এভাবে ঘণ্টা খানেক ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে সাহায্যের জন্য ছুটে আসেন একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। জানতে চান আসলে তিনি কী খুঁজছেন। নাসির হোসেন তাকে বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যাবেন। ঠিকানা নিয়ে তিনি এখানে এসেছেন। অথচ অফিসটি খুঁজে পাচ্ছেন না। অবশেষে পথচারি তাকে দেখিয়ে দেন অফিসটি। অফিসটির প্রধান ফটকের দিকে তাকিয়ে তার চোখ ছানাবড়া। ফটকের লেখাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস না অন্য কিছু। আসলে লেখাটির বেহাল দশার কারণে স্থানীয় কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউ জানে না এটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

শুধু নাসিরই নন। প্রয়োজনের তাগিদে শিক্ষা অফিসে এসে এমন গোলক ধাঁধায় পড়েন অনেক মানুষ। কয়েক বছর ধরে প্রধান ফটকের লেখাটির এ অবস্থা হলেও নজরে পড়েনি কর্তৃপক্ষের।

গাংনী ডিগ্রি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এনামুল আযীম জানান, ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ভিত তৈরি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। অথচ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ফটকটির লেখা বানানটিই পড়া যাচ্ছে না। ফলে এটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নাকি অন্য কিছু, প্রশ্ন জাগতেই পারে সচেতন মানুষের। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বের চরম অবহেলা প্রমাণ করে ফটকের লেখাটি। কয়েকে বছর ধরে ফটকের লেখাটির এ অবস্থা। অথচ মনে হয় কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেন না। তাহলে নতুর প্রজন্ম তাদের কাছ থেকে কী শিক্ষা নেবে?