চরম দুর্ভোগে কলেজ ফিডারের ৫ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক

চুয়াডাঙ্গায় ২ কেভি ট্রান্সফরমার বিকল : দিনে সাড়ে ৫ ঘণ্টা রাতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানের সামনে ওয়েস্টজোন পাউয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২০০ কেভি ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায়  কলেজ ফিডারের গ্রাহক সাধারণের দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। দিনে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধের পর কিছু এলাকায় চালু হলেও রাতে বিদ্যুত বঞ্ছিতদের আন্দোলনের মুখে পুরো ফিডারের বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করে ট্রান্সমিটার স্থাপনের কাজ শুরু করে। ফলে মধ্যরাতে কলেক ফিডারের গ্রাহকেরা বিদ্যুত থেকে বঞ্ছিত ছিলেন।

বিদ্যুত বঞ্ছিত গ্রাহকদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার চরম দুর্ভোগে পড়ে কলেজ ফিডারের ৫ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেশি সমস্যায় পড়ে বয়স্ক ও শিশুরা এবং কলকারখানায় উৎপাদনে ব্যহত হয়। বিদ্যুত সরবরাহ অফিস থেকে বলা হয়, বিকল ২০০ কেভির ট্রান্সমিটারটি সরিয়ে ওই স্থানে ১০০কেভি ও ৫০ কেভির দুটি ট্রান্সফরমার স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি রোববার স্থাপন করা হবে। ৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি স্থাপন না করায় কিছু অংশে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আরামপাড়া, গোরস্তানপাড়াসহ বিদ্যুত বঞ্ছিত গ্রাহকেরা। তারা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যুত অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। ফলে  রাতেই ৫০ কেভি ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ শুরু করতে হয়। আর এ কারণে মধ্যরাতে গোটা ফিডারেরই গ্রাহকদের বিদ্যুত না পেয়ে গরমে হাপিয়ে উঠতে হয়। ভ্যাপসা গরম আর অসংখ্য মশার উৎপাতে ঘুম হারাম হয়ে ওঠে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানের সামনে প্রচণ্ড শব্দে ২০০ কেভির ট্রান্সফরমারটি বিস্ফোরিত হয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এ কারণে বেলা ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকে। ফলে আবাসিক ও বাণিজ্যিকের ৫ হাজার গ্রাহককে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে ওয়েস্টজোন পাউয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপসহকারি প্রকৌশলী জহুরুল হক জানান, বিকল হওয়া ২০০ কেভির ট্রান্সফরমারটি প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো। মেরামত ও সংস্কার করে এতোদিন চলে আসছিলো। ওই স্থানে ১৫ কেভির দুটি ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। বাকি ৫০ কেভি আজ রোববার বসানো হবে। এ ব্যাপারে ওয়েস্টজোন পাউয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বরাত আলী জানান, ২০০ কেভির ট্রান্সফরমারটি পুড়ে গেছে। রাতে ৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটিও স্থাপন করতে গিয়ে ফিডারে দীর্ঘ সময় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।