গৃহকর্তার মেয়েকে বেঁধে রেখে নগদ টাকাসহ সোনার গয়না নিয়ে চম্পট

চুয়াডাঙ্গার নীলমনিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বাড়িতে দিবালোকে তালাভেঙে দুর্বৃত্তের ঘরে প্রবেশ : মালামাল তছনছ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নীলমনিগঞ্জ ফুটবল মাঠের অদুরে একদল র্দুবৃত্ত একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইকবাল ডাক্তারের ছোট মেয়ে তিশা বলে, তখন দুপুর আনুমানিক পোনে ১টা। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরি। দু’তালায় উঠার সময় ফ্লাটের তালা ভাঙ্গা দেখে মনে সন্দেহ জাগে। ভেতরে ঢুকতেই দুজন লোক আমাকে মুখ ও চোখ বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে হাত ও পা বেঁধে ফেলে। আনুমানিক আধাঘণ্টার মাথায় আব্বু এসে হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন। ইকবাল ডাক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমি ওই সময় বাড়ির সাথে থাকা আমার ফার্মেসিতে ছিলাম। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে দেখি ফ্লাটের তালা ভাঙ্গা। ভেতরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আছে দ্রুত মেয়ের হাত পায়ের বাঁধন খুলে ঘটনার বর্ণনা শুনে ঘরে গিয়ে দেখি ঘরের ভেতরে সবকিছু অগোছালো ও ছরিয়েছিটিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, খোঁজ করে দেখি ড্রয়ারে রাখা ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গয়না আর নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইকবাল ডাক্তারের দ্বিতল বিশিষ্ট ভবনের মোট ৪টি ফ্লাট রয়েছে। যেখানে ৩টি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকা কোনো ফ্লাটে দুবৃত্তরা হামলা না চালিয়ে ইকবাল ডাক্তারের ফ্লাটে হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সঠিক পুলিশি তদন্ত প্রযোজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এ ব্যপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোহাম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, ঘটনাটি চুরি বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে, চোর ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় থানা পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।