এক হাজার পিস ইয়াবাসহ পাচারকারী পাকড়াও : সহযোগীও আটক

ঢাকা থেকে চালান নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিক্রির জন্য অপেক্ষা : গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: মারণনেশা ইয়াবার বড় ধরনের একটি চালান চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের একাডেমি মোড়ে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে একজনকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। অপরজনকে ধরা হয়েছে আলমডাঙ্গার চরযাদবপুর গ্রামের নিজবাড়ি থেকে। পলাতক রয়েছে পাচারকারীর আরো এক সহযোগী রাজু।
ইয়াবার চালান নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে বিক্রেতার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকাকালে হাতে নাতে ধরাপড়া পাচারকারী আজাদ হোসেন (৩৮) ঢাকা দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের আড়ৎবাড়ি সুভাট্য উত্তরপাড়ার মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার চরযাদবপুরের তৈয়ব আলী মোল্লার ছেলে আজাদ মোল্লাকে (৩০)। পালিয়েছে আজাদ মোল্লার ভাই রাজু। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মহিতুর রহমান মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল দুপুরে গোপন সংবাদদাতার মাধ্যমে জানতে পারেন, শহরের একাডেমি মোড়ের অদূরবর্তী মাইক্রোস্ট্যান্ডের নিকট কয়েকজন ইয়াবা বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছে। এ সংবাদ পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি অভিযান শুরু করেন। একাডেমি মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করে মাদককারবারিরা। ঢাকা দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের আজাদ হোসেন হাতে নাতে ধরা পড়ে। তার পরণে থাকা প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াবা নামক মারণনেশার এক হাজার পিস টেবলেট। তাকে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ওই আজাদ হোসেন আলমডাঙ্গা চরযাদবপুরের আজাদ মোল্লা ও রাজুর যোগসাজসে বিক্রির জন্যই চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে চরযাদবপুরে অভিযান চালিয়ে আজাদ মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পালাতক রাজুকেও ধরার প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেফতারকৃত আজাদ হোসেন ও আজাদ মোল্লাকে গতকালই মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।