কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধন এবং প্রশিক্ষণকালে কৃষি অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণনকেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কৃষি অধিদফতরের মহাপরিচালক চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান হামিদুর রহমান। গতকাল সোমবার দিনব্যাপি তিনি উপজেলার বিভিন্নস্থানে কৃষি বিষয়ক আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সকালে জয়রামপুর, পরে দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনায় কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধন করেন হামিদুর রহমান।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। এ কথা ভেবেই সরকার কৃষিপণ্যের প্রতি বছর ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। যা বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১ কোটি ৪৩ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হচ্ছে। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং ফল উৎপাদনে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। বিশ্বের ১৬টি দেশে আলু রফতানি করছে বাংলাদেশ। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবজি, মসলা, ফল, মাছ ও মাংস রফতানি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গত বছর দেশে ২৫ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদিত হয়েছে। দুপুরে তিনি কেরুজ ট্রেনিং সেন্টারে বাংলাদেশ ফাইটোসেনেটারি সামর্থ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে এবং দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্ঘনিরোধ কেন্দ্রের আয়োজনে কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক খায়রুল আবরার, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, ফাইটোসেনেটারি প্রকল্প পরিচালক সাদেক ইবনে সামস, প্রকল্প বিশেষজ্ঞ আইয়ুবুর রহমান, দর্শনা উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের অতিরিক্ত উপপরিচালক কামরুন্নাহার, দর্শনা পৌরসাভার প্যানেল মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদার ওদুদ শাহ কলেজ মাঠে ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে ধানের নাড়া পোড়ানো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান। তিনি ধানের নাড়া পোড়ানো প্রসঙ্গে উপস্থিত চাষিদের মাঝে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কায়জার আলী পল্টু।

প্রসঙ্গত, কৃষকরা তাদের পণ্য এসব বিপণন কেন্দ্রে এনে পরিষ্কার করে গ্রেডিং করবেন। তারপর এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। সরাসরি বিক্রির ফলে কৃষকরা তাদের ফসলের নায্যমূল্য পাবেন। একটি সমিতির মাধ্যমে কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নয়, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। এ লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই প্রথমবারের মতো কৃষিপণ্য সংগ্রহ বিপণন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।