চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে দৌলাতদিয়াড় চুনুরিপাড়ার গৃহবধূ লাভলী খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে এলাকাবাসী তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে। লাভলীর স্বামী রেজাউল বলেছেন, তার স্ত্রী ভোর রাতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে। অবশ্য স্থানীয়দের কেউ কেউ এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছে, আড়ালে রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে। লাশ পাওয়া গেলেও পরণের পোশাক উদ্ধার করা যায়নি। নদী পড়েও পড়ে থাকতে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহর সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে লাভলীর বিবস্ত্র লাশ দেখে এলাকাবাসী টেনে ডাঙায় তোলে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। লাভলীর স্বামী ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রেজাউল ড্রাইভার জানান, লাভলী ভোর রাতে নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা যায়। তবে প্রতিবেশীদের ধারণা রেজাউল তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। লাভলী স্বামী-সন্তানসহ নদীর তীরবর্তী দৌলাতদিয়াড়ে ভাড়ার বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। লাশ বিবস্ত্র হওয়ার কারণে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করে বলেন, হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার। অবশ্য প্রতিবেশী কয়েকজন নারী বলেছেন, বিবস্ত্র হয়েও তো কেউ কেউ নদীতে গোসল করতে পারে। আবার সায়া না থাকলে শাড়ি খুলেও যেতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই পিয়ার আলী জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা শহর সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর দৌলতদিয়াড় চুনুরিপাড়া পয়েন্ট থেকে ৩২ বছর বয়স্ক এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গৃহবধুর নাম জবেদা খাতুন লাভলী। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় চুনুরিপাড়ার বাসিন্দা রেজাউল ড্রাইভারের স্ত্রী। মৃতদেহ উদ্ধারের পর হত্যার গুঞ্জন ওঠে। সার্বিক দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলেছেন, ভোর থেকেই স্বামী রেজাউল তার স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তিনিই নদীতে নেমে তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে কূলে আনেন। পুলিশ অবশ্য তা বিশ্বাস করতে পারেনি। মৃত লাভলী খাতুনের লাশ তার বাপের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের মসজিদপাড়ায় নেয়ার পর দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়। তবে বিকেলে পুলিশ লাভলী খাতুনের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপাতাল মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় লাশ নেয়া হয় মসজিদপাড়ায়।