আলমডাঙ্গা উদয়পুরে কুকুরের মুখ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার উদয়পুরের ধর্ষিতা অসহায় প্রতিবন্ধীর নিহত নবজাতকের লাশের মাথা কুকুরের মুখ থেকে গতকাল উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। আলোচিত এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রভাবশালী ধর্ষক নিষ্পাপ নবজাতকের নৃশংস ঘাতক ও তার সহযোগী মানুষরূপী পশুদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে গ্রামবাসী।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার উদয়পুর গ্রামের দরিদ্র অসহায় পরিবারের প্রতিবন্ধী মেয়ে শোভারন নেছা (৩০) কয়েক বছর আগে তার পিতা রেজাউল হক মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর শোভারনের মা ময়না খাতুন পরের বাড়িতে ঝির কাজ করে কোনোভাবে খেয়ে না খেয়ে সংসার চালান। প্রায় ৭/৮ মাস আগের ঘটনা। মা ময়না খাতুন ছোট মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে জনশূন্য বাড়ি ছিলো। এমন সময় শোভারনদের বাড়ির ভেতর ঢোকে একই গ্রামের মৃত সিতাব আলী বিশ্বাসের ছেলে মনির উদ্দীন বিশ্বাস (৫০)। সে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে অসহায় প্রতিবন্ধীকে। সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। দাদাবাবু মনি বিশ্বাস তার চাচাতো ভাই মহর ও চয়েনের সহযোগিতায় গত ৮ মার্চ শোভারনকে গর্ভপাত করাতে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গর্ভপাত করানো হয় না। ওই রাতেই শোভারন নেছা বাড়িতে সন্তান প্রসব করে। শোভারনের মা জানায়, সন্তান ভূমিষ্ঠের পর ভোরে মনি বিশ্বাস কয়েকজন লোক নিয়ে গিয়ে শোভারনের কোল থেকে জোর করে নবজাতককে কেড়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আর ফেরত দেয়নি। এর ৩ দিন পর পার্শ্ববর্তী কবরস্থান থেকে কয়েকটা কুকুর নবজাতকের শরীরের বিভিন্ন অংশ নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে দেখতে পায় গ্রামবাসী।