আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বৃহত্তর উপজেলা ও পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের রমরমা ব্যবসা। এ বিষয়ে মাঝে মধ্যে প্রশাসন কিছু ভূমিকা নিলেও বর্তমানে অবাধে চলছে মাদকের অবাধ ব্যবসা। পৌর এলাকার ক্যানেল পট্রি, লালব্রিজ এলাকা, মেথর পট্টিতে সকাল থেকে জুয়া খেলাসহ দিনব্যাপি স্পিরিট বিক্রি হয়। স্টেশন এলাকা, রাধিকাগঞ্জপাড়া, গোবিন্দপুর এলাকা, এরসাদপুর এলাকা, কলেজপাড়া, গোবিন্দপুর মাঠপাড়া, মাংসের বাজারে, উপজেলার বাইরে হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের ৫/৬ জন হটাতপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন অবাধে বিক্রি হয়। ওসমানপুরের ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা এ মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ওসমানপুর ক্যাম্প নির্বিকার। এখানে বিভিন্ন গ্রাম্য ডাক্তারের দোকানে যৌন ট্যাবলেট অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও হারদী গ্রামের দু ব্যক্তি গ্রামের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একজনের বাড়ি খান পাড়ায় ও একজনের বাড়ি খালপাড়ায়। এরা দুজন সারা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক সরবরাহ করে থাকে। গ্রামে বেশ কয়েকটি স্পটে জুয়া খেলাও হয় বলে গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেছে। হারদী গ্রামের মানুষ বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রকার ফল হয়নি। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামের অসহায় মানুষ। ফরিদপুর গ্রামে প্রায় ৮/১০টি স্থানে গাঁজা বিক্রি হয়। র্দীর্ঘদিন ধরে এখানে গাঁজা বিক্রি হলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো প্রতিকার হয়নি। হাটবোয়ালিয়া হাসপাতাল রোডে বিকেল থেকে ফেনসিডিলের বাজার বসে। লাখ লাখ টাকার ফেনসিডিল এখান থেকে বিক্রয় হয়ে বিভিন্ন গ্রামে সাপ্লাই হয়ে যায়। মুন্সিগঞ্জ, পুটিমারি বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী অতি আরামে মাদক বিক্রি করে আসছে র্দীর্ঘদিন ধরে। বার বার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও শুরু করে মাদকব্যবসা।
এছাড়াও খাসকররা, জামজামি, পাঁচলিয়া, পাইকপাড়া, খেজুরতলা, ঘোলদাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে মাদকব্যবসা চলে আসছে। এ অবাধ মাদকব্যবসার কারনে যুবসমাজে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মাদক সমাজ থেকে মুক্তি চায়। প্রশাসন একটু হস্তক্ষেপ হলেই এর প্রতিকার হবে বলে সকলের ধারণা।