আলমডাঙ্গার খাসকররায় মেলার নামে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া

 

প্রশাসন পুলিশ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য মেলা থেকে যাচ্ছে বখরা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাসকররা বাজারে বোশেখি মেলার নামে চলছে তুঘলকি সব কাণ্ডকারখানা। একদিকে চলছে অবাধে জুয়া খেলা। অন্যদিকে পুতুলনাচের নামে অশ্লীল ও নগ্ন নৃত্য। এসব অবাধে চালানোর জন্য জেলা পুলিশেল বড় কর্তার নামে মোটা অংকের অর্থ তোলা হচ্ছে বলেও জোর গুঞ্জন রয়েছে। ডিবি পুলিশের এক সদস্য ওই টাকা গ্রহণ করছে সূত্র বলেছে। তবে তার সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

বেলেল্লাপনার শেষ ধাপে পৌঁছেছে এ মেলার পুতুলনাচ মঞ্চ। সাধারণ মানুষ যেমন টিকটিকি জুয়াবোর্ডের কাছে গিয়ে ফতুর হচ্ছে, তেমনি খোলামেলা নৃত্য ও বেহায়াপনার দৃশ্য দেখে লজ্জায় মানুষের মাথা নিচ হয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ড করে মেলা কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ টাকা আয় করলেও প্রশাসন কোনো কান-মুখ নাড়ছে না। তারা অজ্ঞাত কারণে রয়েছে নির্বিকার।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা বাজারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মাঠে গত ৪দিন আগে বসানো হয়েছে বোশেখি মেলা। কিন্তু মেলার নামে যা হচ্ছে তা দেখে যেকোনো মানুষের চোখ কপালে ওঠার কথা। এ মাঠে বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে টিকটিকি খেলা অর্থাৎ জুয়া খেলা। চলছে প্রায় সারারাত। এতে হাজার হাজার টাকা খুইয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ ফতুর হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। মেলামাঠে চলছে পুতুলনাচ। তবে এ পুতুল নাচে ভ্যারাইটি শো নামে চলছে যুবতীদের দেহ প্রদর্শনী। খোলামেলা ও নগ্ন নৃত্য ভাবিয়ে তুলেছে এলাকার সচেতন মহলকে। বিশেষ করে স্কুলগামী ছেলেরা ও শ্রমিক শ্রেণির লোকজন এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ বোশেখি মেলায় একটু বিনোদন করতে এসে নিঃস্ব হয়ে ফিরছে অনেক দরিদ্র ব্যক্তি। অবৈধভাবে অবাধে এসব চললেও প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। মেলার জুয়াবোর্ড থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য প্রতিদিনই বখরা দেয়া হয়। এ ছাড়া মেলার আয়োজকরা থানা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে নিয়মিত উৎকোচ দিচ্ছে বলে দাবি করে বলছে, যে যা পারে লিখুক তাতে কিছু এসে যায় না। অভিযোগকারীরা জানায়, খাসকররা বাজার কমিটির সভাপতি শুকুর আলীসহ এলাকার মিজান, রুহুল, আরজান, ফারুক, লালু, ফেলু ও বিল্লাল মেম্বারের নেতৃত্বে অবৈধভাবে চলছে অবৈধ কর্মকাণ্ড। বিষয়টি জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ আশা করে। গতরাতে এ মেলার ক্যাশিয়ার মিজানুর রহমান মিজানের সাথে কথা হয়। তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, মেলার অনুমোদন আছে। অবৈধ জুয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, দুটি টিকটিকি জুয়ার বোর্ড চলছে। এ ছাড়াতো চলা যায় না।

গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ব্যাপারে জানার জন্য আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইলে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি মোবাইলটি রিসিভ না করায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে আলমডাঙ্গা থানার ওসিকেও ফোন দেয়া হয়। তবে তিনি বিশেষ এক অভিযানে থাকায় তিনিও কিছু বলেননি।