দক্ষিণ আফ্রিকার নাটকীয় জয়

স্টাফ রিপোর্টার: অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারলো না নেদারল্যান্ডস। নাটকীয় লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ রানে হেরে গেছে তারা। ডাচদের বিপক্ষে এ জয়ের ফলে প্রোটিয়াদের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও এখন অনেকটাই উজ্জ্বল। দক্ষিণ আফ্রিকার এটা টানা দ্বিতীয় জয়। গ্রুপ ‘১’ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ রানের হারার পর পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২ রানে হারিয়েছিলো তারা। আর সুপার টেনে নেদারল্যান্ডসের এটা দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস গড়ে ৯ উইকেটে হেরেছিলো তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ উইকেটে গড়া ১৪৫ রানের জবাবে ১৮.৪ ওভারে ১৩৯ রানেই থেমে যায় ডাচদের ইনিংস। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্টেফান মাইবার্গ। তার ২৮ বলের ইনিংসটি ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো। মাইবার্গের দাপটে নেদারল্যান্ডসের শুরুটা হয়েছিলো দারুণ। ৩৫ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল তারা। তবে ৯৭ রানের মধ্যে মাইবার্গ সহ নেদারল্যান্ডসের প্রথম সারির চার জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে লড়াইয়ে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও এক সময় ৪২ বলে নেদারল্যান্ডসের দরকার ছিলো মাত্র ৩০ রান। হাতে ছিলো ৫ উইকেট। বলতে গেলে অঘটনের মঞ্চ প্রস্তুতই ছিলো। তবে ২৪ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের শেষ ৫টি উইকেট তুলে নিয়ে তা আর হতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে বড় অবদান স্পিনার ইমরান তাহিরের। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে দেড়শ রানের ইনিংস গড়তেও ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। একমাত্র উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ছাড়াও আর কেউই প্রত্যাশিত ইনিংস খেলতে পারেনি। ২২ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করেন আমলা। আর ১৪ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে বেধে রাখতে বড় ভূমিকা পেসার আহসান মালিকের। ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।