বুদ্ধি খাটিয়ে দিনে-দুপুরে দোকানের ড্রয়ার কেটে দু লাখ টাকা চুরি

চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জের নিউ এমএম ট্রের্ডাসে চোর এলো মোটরসাইকেলযোগে

 

স্টাফ রিপোর্টার: বুদ্ধি খাটিয়ে দিনে-দুপুরে দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারের লক কেটে দু লাখ টাকা চুরি করে সটকেছে দু চোর। এরা মোটরসাইকেলযোগে এসে খোদ্দের সেজে দোকানের কিশোর কর্মচারীকে কৌশলে সরিয়ে ড্রয়ারের লক কাটে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জের নিউ এমএম ট্রের্ডাসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জের ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের অদূরেই মেসার্স নিউ এমএম ট্রেডার্স। দোকানের স্বত্বাধিকারী দোকানে ছিলেন না। দুপুরে ম্যানেজার রিপন ১২ বছর বয়সী কিশোর কর্মচারীকে দোকানে রেখে দুপুরের খাবার খেতে যান। পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে দু যুবক আসে দোকানে। খোদ্দের সেজে সিমেন্টের দর দাম জিজ্ঞেস করার পাশাপাশি দোকানের লোকজন কখন আসবে তা জানতে চাওয়ার মাঝে কিশোরকে দু চোর পানি আনার কথা বলে। কিশোর কর্মচারী পানি আনতে গেলে সুযোগ বুঝে টাকা রাখার ড্রয়ারের তালার লক কেটে সেখানে বান্ডিল করে রাখা দু লাখ টাকা চুরি করে সাধু সেজে বসে থাকে। কিশোর কর্মচারী মামুন দোকানে ফিরলে দু চোর ওঠে পড়ে পাশের দোকান থেকে সিগারেট কেনে। এরপরই মোটরসাইকেলযোগে উধাও হয়ে যায়।

দোকানের কিশোর কর্মচারী মামুনের বর্ণনা মতে, দুজনেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দেখলে তাদের চিনবে বলে জানিয়েছে কর্মচারী মামুন। স্থানীয়রা যাকে দোকানের মালিক বলে জানেন, তিনি বলেছেন দোকানটি দেখভার করি ঠিকই, কিন্তু মালিক কার্পাসডাঙ্গার মালেক মিয়া। ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য টাকা ড্রয়ারে রাখা ছিলো। ম্যানেজার রিপন ভাত খেয়ে ফিরেই টাকাগুলো ব্যাংক করতো। তার আগেই ভদ্র চোর আমাদের বোকা বানিয়ে টাকাগুলো নিয়ে গেলো। এখন আর কী করা? যা গেছে তা তো আর ফিরবে না।

চুরির খবর পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোর কর্মচারী মামুনকে সদর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, দোকানি মামলা করেনি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর মামুন বলেছে, চোররা তাকে দিয়ে দু বার পানি আনায়। প্রথম বার বলে পানি গরম, ঠাণ্ডা পানি আনো। দ্বিতীয় বার পানি আনার পর দেখে চোররা দোকান থেকে উঠে পড়েছে। দোকানটি স্থানীয়রা পলাশপাড়ার একজনের বলে জানালেও তিনিই বলেছেন, দোকানের প্রকৃত মালিক কার্পাসডাঙ্গার মালেক মিয়া। তিনি ইতঃপূর্বে বহুবারই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।