ফেসবুকে প্রেম অতঃপর বিয়ে : ১৫ দিনের মাথায় তালাক

 

স্টাফ রিপোর্টার: ফেসবুকে প্রেম করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে খুলনা থেকে ছুটে আসে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে। স্থানীয় কাজির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে তারা। প্রেমিকার বাড়ি থেকে পিতা-মাতা আসে প্রেমিকের বাড়ি। সে ফিরবে না বলে জানালে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তার পিতা-মাতাকে। বিয়ের মাত্র ১৪ দিন অতিবাহিত হলে প্রেমিকা তার পিতার মোবাইলফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। গতকাল রোববার ইউনিয়ন পরিষদে কাজির মাধ্যমে তালাক সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের গড়চাপড়া গ্রামের সোজা উদ্দিনের ছেলে ইবনে মোসাব (২৫) ও খুলনা জেলার দীঘিলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের এসকে আব্দুল বাশারের মেয়ে শরিফা আক্তারের (১৮) সাথে ফেসবুকে প্রেম হয়। ফেসবুকে চ্যাটিং তারপর মোবাইল নম্বর আদান-প্রদানের মাধ্যমে মন দেয়া-নেয়া হয়। প্রেমের টানে ১৫ দিন আগে শরিফা আক্তার ট্রেনযোগে প্রেমিক ইবনে মোসাবের বাড়িতে হাজির হয়। রাতেই স্থানীয় কাজির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরদিন প্রেমিকার পিতা-মাতা ও এলাকার কিছু লোকজন নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়ে মেয়েকে ফেরত নিতে চাই। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে প্রেমিকা বাড়িতে ফিরবে না বলে জানালে প্রেমিকার পিতা-মাতা হতাশ হয়ে খুলনায় ফিরে যান। বিয়ের সপ্তা ঘুরতেই প্রেমিকা নববধূ শরিফা বেঁকে বসে। সে ইবনে মোসাবের সাথে সংসার করবে না বলে জানালে শুরু হয় অশান্তি। শরিফা মোবাইলফোনের ক্ষুদেবার্তায় তার পিতাকে জানায় সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে সে প্রেমিককে তালাক দিয়ে নিজের বাড়ি ফিরতে চাই। গতকাল সকালে শরিফার পিতা-মাতা এসে হাজির হন এবং জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতবরদের উপস্থিততে কাজির মাধ্যমে তালাক সম্পন্ন করে।