পরস্ত্রীর ঘরে পুলিশ কনস্টেবল : হাটকালুগঞ্জের জনতা আটকে দিলো পিটুনি

স্টাফ রিপোর্টার: পরস্ত্রীর ঘরে বসে মুড়ি খাওয়ার শখ? তাও আবার রাতে। ফলে মেনে নেয়নি মহল্লাবাসী। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল বকুলকে চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জের সামছদের বাড়ির ভাড়াটিয়া দু সন্তানের জননী লিজা খাতুনের ঘর থেকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়া হয়। পরে খবর পেয়ে সদর থানার একদল পুলিশ বকুলকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। লিজা তার বাসাতে থাকলেও গতরাত কেটেছে আতঙ্কে।
স্থানীয়রা বলেছে, মাস খানেক আগে ফার্মপাড়ার লিজা খাতুন তার দু সন্তান নিয়ে হাটকালুগঞ্জের সামছদ মঞ্জিলে ভাড়ায় বসবাস শুরু করে। স্বামী থাকায় ঢাকায়। গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনের দোকানে যায় পুলিশ লাইনের কনস্টেবল বকুল। তিনি মেহেরপুর গাঙনীর গাড়াবাড়িয়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। পুলিশের গাড়ি চালান। দোকানে মালামাল কেনার অজুহাতে আসেন লিজা। কথা হয় দুজনের মধ্যে। মুড়ি খাওয়ার অছিলায় বকুল যায় লিজার ঘরে। দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ঘেরাও করে। ঘরে আটকে দুজনকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে থাকে বকুল। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই মহাশিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাত ১১টার দিকে  বকুলকে থানায় নেন।