দৌলতদিয়াড়-পাটুরিয়া রুটে ৯টি ফেরি বিকল : ঘাটপারের অপেক্ষায় কয়েক হাজার যানবহন

 

স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ও ফেরি স্বল্পতার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে শত শত যানবাহন। ১৮টির মধ্যে চারটি রোরো, তিনটি ইউটিলিটি ও দুটি কে-টাইপ ফেরি বিকল রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রোরো ফেরির ইঞ্জিন দুর্বলতার কারণে স্রোতের বিপরীতে চলতে না পারায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। বিকল ফেরিগুলো জরুরিভাবে মেরামতের জন্য স্থানীয় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে। ফলে ঘাটের দু দিকেই হাজার হাজার যানবহন পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরের ঢাকা কোচগুলোর অধিকাংশই বঙ্গবন্ধু যমুনা ব্রিজ হয়ে চলাচল করছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে এ রুটে ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রোববার যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৭ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলরত ১৮টি ফেরির মধ্যে রোববার ছোট-বড় ১১টি ফেরি চলছিলো। এর মধ্যে রোরো-৬, কে-টাইপ-১ ও ইউটিলিটি ফেরি ৪টি। শনিবার সন্ধ্যায় পাটুরিয়া থেকে গাড়ি বোঝাই করে কে-টাইপ ফেরি ‘কপোতি’ দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে গিয়ে স্রোতের তোড়ে টিকতে না পেরে ফিরে যায়। ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় সেটি বসে যায়। স্রোতের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে শুক্রবার রোরো ফেরি ‘খানজাহান আলীর প্রপেলশান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সেটিকে ওইদিন নারায়ণগঞ্জের ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এছাড়া দৌলতদিয়ার দুটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে উভয় ঘাটে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়েছে।