দক্ষিণ কোরিয়ার নিমজ্জিত ফেরি থেকে ৬০ লাশ উদ্ধার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সাগরে ডুবে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ৬০টি লাশ। এ রিপোর্ট লেখার সময় আরও লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছিলো। এগুলোর বেশির ভাগই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। মৃতদেহগুলো কাছে পেয়ে স্বজনরা গগনবিদারী কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী করে তোলেন। এ সময় সেখানে সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। গতকালই প্রথমবারের মতো ডুবুরিরা ওই জাহাজের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ পান। তারা ভেতরে গিয়েই দেখতে পান চারদিকে লাশ আর লাশ। সেগুলো লাইফজ্যাকেট পরা। কয়েকটি যাত্রী কেবিন থেকে প্রায় বিশটির মতো মৃতদেহ বের করে আনা হয়। ২৭০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বুধবার ফেরিটি ডুবে যায়। যাত্রীদের বেশির ভাগই স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তীব্র স্রোত এবং পানির ভেতর ভালোভাবে দেখতে না পাওয়ার কারণে ডুবুরিরা উদ্ধার কাজে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন। ডুবে যাওয়ার সময় ফেরিটি অনভিজ্ঞ একজন চালক চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। সেই চালকসহ অন্য আরেকজন ক্রু এবং ফেরির ক্যাপ্টেন এখন পুলিশের হেফাজতে। মোট ১৭৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপের একেবারে দক্ষিণ কোনায় ছোট্ট এ বন্দরে শাদা একটি বোর্ডের চারদিকে সবসময় উদ্বিগ্ন স্বজনদের দেখা যাচ্ছে। মৃতদেহ পাওয়ার পরপরই ওই বোর্ডে তাদের নাম, নাম না পাওয়া গেলে তাদের পোশাকের বর্ণনা, মোবাইলফোন, হাতে গলায় পাওয়া জুয়েলারি বা শনাক্ত করার অন্য কোনো চিহ্নের বর্ণনা লিখে দেয়া হচ্ছে। যতো দিন যাচ্ছে, উদ্বিগ্ন স্বজনদের অস্থিরতা এবং ক্ষোভ ততো বাড়ছে। নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের সাথে গতকাল পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। তারা দাবি করছেন, উদ্ধার তৎপরতা দ্রুততর করা হোক। আড়াইশর মতো যাত্রী এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকারীরা বলছেন, সব মৃতদেহ খুঁজে বের করতে কয়েক সপ্তা এমন কি কয়েক মাসও লাগতে পারে।