চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোজদারদের প্রতিদিন এক সাথে ইফতার মাহফিল : সম্প্রীতির নিদর্শণ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোজদারদের প্রতিদিন এক সাথে ইফতার মাহফিল : সম্প্রীতির নিদর্শণ 

স্টাফ রিপোর্টার:  দৃশ্যটা দারুণ সম্প্রীতির। প্রতি রমজানেই চিত্রটা ফুটে ওঠে? নাকি এবারই প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এক সাথে বসে ইফতার করা? প্রতিদিন মহা মিলনের মোহনীয় আয়োজন দেখে যে কেউই বলবেন, চমৎকার। সত্যিই আমরা সকলে সমান।

জানা গেছে, রমজানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সবাই একসাথে আয়োজন করে ইফতারের। হাসপতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে, বাহিরের চায়ের দোকানে বা ওষুধের দোকানে রোজাদাররা একসাথে বসে ঈফতার করেন। বিশেষ করে হাসপতালের ওয়ার্ডে প্রায় নিয়মিতই রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের সেবিকা মিলে ইফতার করে থাকেন।

চুয়াডাঙ্গা হাসপতাল এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রমজান মাসেও অন্যান্য সময়ের মতোই হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাই রোগীর স্বজনদের বাধ্য হয়েই পরিবার ফেলে হাসপাতালেই ইফতার কিংবা সেহরী করতে হয়। পাশাপাশি রোগীর সেবা করেও সুস্থ করে তুলতে হয়। রোগীর স্বজনরা হাসপতালে রোগী ভর্তি আবার চলেছে রমজান মাস। পরিবারের লোকজন ফেলে সেহরী কিংবা ইফতারি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। যদিও রোগীর স্বজন ও সেবিকা যার যার ইফতারি কিনে সবাই একসাথে মিলে ইফতারি করতে ভালোই লাগছে। প্রথম দিন একটু খারাপ লাগছিলো। আর যারা দীর্ঘদিন রয়েছে তারা জানালেন সহ্য হয়ে গেছে। সেহরীর সময়টা বেশি সমস্যা হচ্ছে তাদের। কারণ আশেপাশে কোনো হোটেল না থাকায় অনেক সমস্য হয়। সেবিকারা জানান আমাদের অনেক সময় রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার ওপর থাকতে হয়। কারণ হাসপাতালে যারা চিকিৎসা সেবার জন্য ভর্তি হয় তারা তাদের শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ একারণেই ভর্তি হয়। তাই তাদের সবসময় চিকিৎসা সেবা দেয়া নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে হয়। কখনও কখনও মুখে পানি দিয়েই রোগীর চিকিৎসা দিতে যেতে হয়। এদিকে হাসপাতাল এলাকায় বিভিন্ন দোকানীদেরও সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এ বিষয়ে দোকানীরা জানান সবাই মিলে একসাথে ইফতার করা একটা আলাদা মজা। তাছাড়া পথচারীদের অনেকেই ইফতার করতে পারে না। এতে পথচারীরা ইফতারি করার সুযোগ পায়।