কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণসহ বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে লুটপাটের অভিযোগ : ৬ জনের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা এরশাদপুরের রানা, আরিফসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণসহ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে গোয়াল থেকে গরু চুরি করে নেয়ার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার। তিনি বলেছেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের পাশে আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে।

মানবতা ফাউন্ডেশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এরশাদপুরের দরিদ্র ভ্যানচালক দুটি পরিবার পাশাপাশি বসবাস করেন। একে অপরের আত্মীয়। দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে সুজন তুলে নিয়ে আনুমানিক ১০ মাস আগে বিয়ে করে। ৫ মাস আগে কিশোরীকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। এরপর থেকে সুজন তার লোকজন নিয়ে একের পর এক হুমকি দিতে থাকে। গত ২৪ মে রাতে দু কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। একজনকে গ্রামের কবরস্থানের নিকট থেকে উদ্ধার করা হলেও সুজনের সাবেক স্ত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরদিন গ্রামেরই সাবেক পৌর চেয়ারম্যানের বাড়িতে রেখে যায় কিশোরীকে। মামলার প্রস্তুতি নেয়া হলে ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। লুটপাট করা হয় মালামাল। গোয়াল থেকে গরুও খুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার দুটি ঈশ্বরদীতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গার মানবতা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সংবাদ সম্মেলন করে। পুলিশ সুপারের সাথে দেখাও করা হয়। এরই এক পর্যায়ে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে, এরশাদপুরের অতিয়ার রহমানের ছেলে রানা, মহির কসাইয়ের ছেলে আরিফ, আজিজুলের ছেলে মনিরুল, দুলারে ছেলে সাইফুল, মৃত শুকুর আলীর ছেলে সুজন ও গোবিন্দপুরে ওল্টুর ছেলে মিজানুরকে।