পুলিশ দেখে পালানোর সময় খালে পড়ে জখম আলমসাধুচালক

 

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে আলমসাধুসহ খালে পড়ে পা ভেঙেছে চালক শহিদুল ইসলাম (৪৫)। গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমসাধুচালক শহিদুলকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে তার প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরওনাভুক্ত আসামি। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, আলমসাধুচালক শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটী শেখপাড়ার আব্দুল মজিদ মুন্সীর ছেলে। কলোনির শাহজাহানের মেয়ে রেখা তার প্রথম স্ত্রী। কয়েক দফা এদের বিচ্ছেদ এবং এক সাথে সংসার করার ইতিহাস রয়েছে এদের। শহিদুল দ্বিতীয় বিয়েও করেছে। এদিকে প্রথম স্ত্রী পিতার বাড়ি ফিরে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় গ্রেফতারি পরওনা জারি হলেও পুলিশ ধরতে পারে না। এরই এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যার পর রেখা তার স্বামীকে মোবাইলফোনে অবস্থান জানতে চায়। হানুরবাড়াদি ভাড়ায় এসেছি বলে জানালে দেখা করে যেতে বলে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহিদুল ইসলাম কলোনির রাস্তায় ঢুকে স্ত্রীর সাথে দেখা করার আগেই দেখে পুলিশ দাঁড়িয়ে। পুলিশ দেখে শহিদুল আলমসাধু চালিয়ে বেলগাছি মোড়ের দিকে ছুটতে থাকে। মোটরসাইকেল যোগে দু পুলিশ সদস্যও পিছু নেয়। এক পর্যায়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী খালে আলমসাধুসহ উল্টে পড়ে শহিদুল। তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসক বলেছেন, পা গুড়িয়ে গেছে। ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও গতরাতে তাকে হাসপাতালেই রাখতে হয়েছে।