চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি ধরনের তাপদাহ অব্যাহত

 

জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় আরো একজনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: বায়ুর প্রভাবে দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হলেও চুয়াডাঙ্গা যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চমাঞ্চলে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাপা যন্ত্রের পারদ চুয়াডাঙ্গা-যশোরে যেনো নামছেই না। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ যশোরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। কক্সবাজার ও সিলেট এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো সন্দ্বীপে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গতকাল জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া নিশ্চিন্তপুরের এক হতদরিদ্র পরিবারের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে মাত্রারিক্ত কাঠাল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত পরশু হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিম মরসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হলেও তা চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে আসবে কবে? আবহওয়া বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করে দিনক্ষণ দিতে না পারলেও সপ্তহাখানেকের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে পারে বলে জানিয়েছেন। আবহওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মরসুমি বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। মরসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠর দাবদাহে জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার অনন্তপুর গ্রামে এক হতদরিদ্র কৃষকের মর্মান্তিক মুত্য হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৭টায় জীবননগর উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্য হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মৃত বরাত আলী পীরের ছেলে জবেদ আলী জবা (৬৫)। তিনি গত শুক্রবার বাড়িতে মাত্রাতিরিক্ত কাঁঠাল খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। পরিবারের সদস্যরা তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্ত্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল রোববার সকাল ৭টার দিকে মুত্যর কোলে ঢুলে পড়েন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অনন্তপুর ঈদগা ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।