ওসমানপুর গ্রামের এক গৃহবধূ তালাকপ্রাপ্ত সতীন পক্ষের হাতে নির্যাতনের শিকার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পল্লি ওসমানপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে বেদম পিটিয়ে, কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তালাকপ্রাপ্ত সতীন ও তার ছেলেরা গৃহবধূর ওপর ওই বর্বোচিত হামলা চালিয়েছে অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

লিখিত এজাহার ও গ্রামসূত্রে জানা গেছে, উসমানপুর গ্রামের দারজেল হোসেন নামের এক কৃষক একই গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে ফাতাসী খাতুনকে বিয়ে করেন। পরে দাম্পত্য অশান্তির কারণে সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীকে ২৩ বছর পূর্বে তালাক দেন। পরে পারভীনা খাতুনকে বিয়ে করে নতুনভাবে সংসার পাতেন। কিন্তু প্রথম স্ত্রী পক্ষের সাথে দারজেল আলীর শত্রুতা চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ফাতাসী খাতুন, তার ছেলে বখতিয়ার ও একই গ্রামের কামাল হোসেন দারজেল আলীর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। সে সময় দারজেল আলী বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলো। তা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন বিষয়ে দারজেল আলীর বর্তমান স্ত্রী পারভীনা খাতুনকে গালিগালাজ করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে তাদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে পারভীনা খাতুনের ওপর। এক পর্যায়ে তাকে বেদম পেটানো শুরু করে। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লাথি-দলিয়ে আধমারা করে। কানের সোনার দুল, গলার সোনার চেন ছিড়ে নিয়ে গেছে। কানের দুল ছিঁড়তে গিয়ে মারাত্মকভাবে পারভীনা খাতুনের কান কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা দ্রুত হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় পারভীনা খাতুন স্বামীর সাথে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।