চুয়াডাঙ্গায় অপরাজিতা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শেয়ারিং সভা অনুষ্ঠিত

 

মহিলা জনপ্রতিনিধিরা দাবি করলেন সমান বরাদ্দের

খাইরুজ্জামান সেতু/জহির রায়হায় সোহাগ: ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। সাধারণ মেম্বারদের ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের ৩ ওয়ার্ড মিলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয় না। যেমন ভিজিডি বা ভিজিএফ’র কার্ড এলে আমাদের দেয়া হয় ৩ ওয়ার্ডে ৩টা। কিন্তু একটা মেম্বারকে এক ওয়ার্ডে দেয়া হয় পর্যাপ্ত। এই কারণে নির্বাচনের সময় যদি আমরা ভোট চাইতে যাই আমাদের বলা হয় তোমরা কী দিয়েছো যে তোমাদের ভোট দেবো। জেহালা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার ছাহেরা খাতুন বললেন, আমাদের কোনো বরাদ্দই দেয়া হয়নি। উপরোক্ত কথাগুলো ক্ষোভের সাথে জনপ্রতিনিধিরা বললেন চুয়াডাঙ্গায় অপরাজিতা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শেয়ারিং সভা অনুষ্ঠানে। তারা যেমন সুফিয়া কামাল ফেলো ঠিক তেমনি কেউ বর্তমান নবনির্বচিত মহিলা মেম্বার আবার কেউ সাবেক মহিলা মেম্বার। একই অনুষ্ঠানে উঠে আসে বাল্যবিয়ের বিষয়। কারণ চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ের অবস্থান সারাদেশে ২য় স্থানে। বক্তারা সবাই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের জন্য জোর বক্তব্য রাখেন। এ সময় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহসমন্বয়কারী আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জিসিএ সভাপতি চুয়াডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক মুক্তা, অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, সহসভাপতি শাহীন সুলতানা মিলি, জিসিএ সিনিয়র সদস্য ওয়ালিউর রহমান মালিক টুল্লু, সুফিয়া কামাল ফেলোর যুগ্মআহ্বায়ক রউফুন নাহার রীনা, সদস্য নুরুন্নাহার কাকলী, শেফালী খতুন, দেশটিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মানুষের মাঝে বিতরণ করাই বড় নয়। বড় হচ্ছে জনগণের সেবা দেয়া। প্রকল্পের সেবা না দিয়েও জনগণের সেবা দেয়ার অনেক পথ রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মহিলা কাউন্সিলরদের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ আসে না। তবে আমি খেয়াল করে দেখেছি মিটিঙে সাধারণ কাউন্সিলরদের সামনে মহিলা কাউন্সিলররা কোনো কথা বলতে গেলে তাদের থামিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য পরে আমি তাদের কথা শুনে ব্যক্তিগতভাবে তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আর কতোটুকু মেটানো যায়। তারপরও চেষ্টা করি। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া কামাল ফেলোর আহ্বায়ক কোহিনুর বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডিএফ’র সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। প্রবন্ধ পাঠ করেন সিডিএফর প্রকল্প সমন্বয়ক আসমা হেনা চুমকি।