পুলিশ-জনতা ডাকাতদলের পিছু নিলেও বাধ সাধলো ঘনকুয়াশা

আলমডাঙ্গার গোপিনগর কুলপালা ও কয়রাডাঙ্গার মধ্যবর্তী মাঠে অস্ত্রধারীদের অবস্থান!

স্টাফ রিপোর্টার: কুলপালা, কয়রাডাঙ্গা ও গোপিনগর গ্রামবাসীসহ পুলিশ মধ্যবর্তী মাঠটি ঘেরাও করলেও শেষ পর্যন্ত ডাকাতদলের কাউকে ধরা যায়নি। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৫-১৮ জনের একদল অস্ত্রধারী গোপিনগর পশ্চিমপাড়ার অদূরে মাঠে অবস্থান নেয়। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশের আহ্বানেই কয়রাডাঙ্গা, গোপিনগর ও কুলপালার সাধারণ মানুষ মাঠটি ঘিরে অবস্থান নেয়।

দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালানো হলেও ডাকাতদেলর টিকি ছোঁয়া যায়নি। তবে জানান দেয়া গেছে। কয়রাডাঙ্গার একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, পুলিশ-জনতা ডাকাতদলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ডাকাতদলের পক্ষ নেয় ঘনকুয়াশা। কুয়াশার কারণেই অভিযানের টর্চ বেশিদূর পৌঁছায়নি। অভিযান মাঝরাতের বেশি স্থায়ীও হয়নি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অস্ত্রধারী গ্যাং গড়ে উঠেছে। এরা ডাকাতি ছিনতাইসহ নানামুখি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গতপরশু দামুড়হুদার গোবিন্দুপুর গ্রামে মুখোশপরা অস্ত্রধারীরা তাণ্ডব চালায়। গতকাল আলমডাঙ্গার গোকুলখালীর পার্শ্ববর্তী গোপিনগর পশ্চিমপাড়ার মাঠে ডাকাতদলের অবস্থানের খবর রটে। এ খবরের ভিত্তিতে গোকুলখালী ফাঁড়ি পুলিশ অভিযানে নামে। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী কুলপালা ও কয়রাডাঙ্গা গ্রামবাসীকেও জানানো হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ লাঠিসোঁটা ও টর্চলাইট নিয়ে রাস্তায় নামে। গোপিনগর, কুলপালা ও কয়রাডাঙ্গার মধ্যবর্তী মাঠটি ঘিরে নেয় তারা। পুলিশ অবস্থান নেয় সড়কে। চলে ডাকাতধরা অভিযান। রাত দেড়টায় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকাতদলের পিছু নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।