এম আর বাবু/সালাউদ্দীন কাজল/নারায়ণ ভৌমিক: দীর্ঘ প্রায় এক মাসের জমাজমাট প্রচারণা শেষে আজ শনিবার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ও সীমান্ত ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে কে বসছেন আন্দুলবাড়িয়া ও সীমান্ত ইউপির চেয়ারম্যান আসনে তার অবসান হতে যাচ্ছে আজ। আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে শাখাওয়াত হোসেনই কি চেয়ারম্যান থাকছেন? না-কি কেড়ে নিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার, মির্জা লিটন না আতিয়ার রহমান? তা ঠিক করবেন এ ইউনিয়নের ২০ হাজার ৯৪ ভোটার। অপরদিকে সীমান্ত ইউনিয়নে হান্নানই কি ফের চেয়ারম্যান হচ্ছেন? না-কি তার চেয়ার কেড়ে নিচ্ছেন ময়েন, জাকির বা মালেক মোল্লা? তারও আজ ফায়সালা করবেন এ ইউনিয়নের ২১ হাজার ৫১৯ ভোটার। চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। বিজিবি ও ৱ্যাব- পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। এরা হচ্ছেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্কাস প্রার্টির নজরুল ইসলাম (হাতুড়ি), আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ শফিকুল ইসলাম মুক্তার (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বিদ্রোহী সাব্দার রহমান (ঘোড়া) ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আতিয়ার রহমান (ধানের শীষ)।
সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং আসনে নাসিমা খাতুন (বক), মিনুয়ারা খাতুন (তালগাছ), কাজল রেখা (হেলিকপ্টার) ও নার্গিস আক্তার (কলম), ৪, ৫ ও ৬ নং আসনে পিনজিরা বেগম (মাইক) ও পেয়ারা বেগম (বক) এবং ৭, ৮ ও ৯ নং আসনে শাহানারা বেগম (মাইক), আছিয়া খাতুন (বক) ও রহিমা খাতুন (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
সাধারণ ১ নং ওয়ার্ডে নূর ইসলাম (মোরগ), সেলিম আব্দুর রশিদ (ফুটবল), সাজ্জাত হোসেন (তালা), ফারুকুজ্জামান (টিউবওয়েল) ও সাইদুল ইসলাম (ভ্যানগাড়ি), ২ নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম (মোরগ), আতিয়ার রহমান (ফুটবল), কেএম আজাদ (আপেল), আবু জাফর (তালা), হাফিজুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা) ও আনোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল), ৩ নং ওয়ার্ডে হারেজ শেখ (বৈদ্যুতিক পাখা), সাদ আহাম্মদ আলী (ফুটবল), রেজাউল হক (তালা), জালাল উদ্দিন (মোরগ) ও আরিফুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ৪ নং ওয়ার্ডে উজ্জ্বল মণ্ডল (টিউবওয়েল), ছানোয়ার হোসেন (ফুটবল) ও চুমুক আলী (মোরগ), ৫ নং ওয়ার্ডে আবদুর সবুর আলী (মোরগ), আজহারুল ফয়েজ রানা (ফুটবল), জহিরুল ইসলাম (তালা), হারুন মোল্লা (বৈদ্যুতিক পাখা) ও ইসলাম মণ্ডল (টিউবওয়েল), ৬ নং ওয়ার্ডে রেজাউল হক (মোরগ), হায়দার আলী (টিউবওয়েল), ওয়ালী উল্লাহ (ভ্যানগাড়ি), ছমির হোসেন (আপেল), উসমান মণ্ডল (বৈদ্যুতিক পাখা), বাহা উদ্দীন (ফুটবল) ও সোহেল হোসেন (তালা), ৭নং ওয়ার্ডে মিলন উদ্দিন (তালা), মাজহারুল ইসলাম (মোরগ), শহিদুল খান (বৈদ্যুতিক পাখা), রেজাউল খান (ফুটবল) ও মহাসীন আলী (টিউবওয়েল), ৮ নং ওয়ার্ডে আসাম আলী (আপেল), সাহাজুল হোসেন (ফুটবল), শেখ মাফিজুর রহমান (মোরগ), দরুদ আলী (তালা) ও শফিকুল আলম (টিউবওয়েল) এবং ৯ নং ওয়ার্ডে ইউনুছ আলী (মোরগ), তাজমুল হক (ফুটবল), মোছাদ্দেক আলী (বৈদ্যুতিক পাখা), নাসির উদ্দিন (টিউবওয়েল) ও মহাসিন হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সীমান্ত ইউনিয়নেরও চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মালেক মোল্লা (আনারস), আওয়ামী লীগ মনোনীত জাকির হোসেন (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইজাজুল হক বিশ্বাস (হাতপাখা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাবুল ইসলাম লিটন (দুটি পাতা) ও বিএনপি মনোনীত মঈন উদ্দীন ময়েন (ধানের শীষ)।
সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং আসনে রিনা খাতুন (হেলিকপ্টার), আদুরি খাতুন (তালগাছ), বুলবুলি খাতুন (বক) ও নাসরিন আক্তার (কলম), ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ফিরোজা খাতুন (তালগাছ), তহুরা বেগম (মাইক) ও ফুল ছুরাতন খাতুন (বক) এবং ৭, ৮ ও ৯ নং আসনে রহিমা খাতুন (বক), সবেদা বেগম (তালগাছ), জাহিমা খাতুন (সূর্যমুখী ফুল) ও মর্জিনা খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
সাধারণ ১ নং ওয়ার্ডে ইসরাফিল হোসেন (টিউবওয়েল) ও সাইফুল ইসলাম (মোরগ), ২ নং ওয়ার্ডে সেকেন্দার আলী বিশ্বাস (মোরগ), জালাল উদ্দীন (ফুটবল), জহুর আলম (টিবওয়েল) ও আ. সামাদ (বৈদ্যুতিক পাখা), ৩ নং ওয়ার্ডে ইমাদ আলী (বৈদ্যুতিক পাখা), আব্দুছ সালাম তেঁতুল (তালা), সামসুল হক (আপেল), আসাদুল হক (মোরগ), জামাল উদ্দীন (ফুটবল), বিল্লাল হোসেন (টিউবওয়েল) ও রফিক উদ্দীন (ভ্যানগাড়ি), ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল ওয়াহেদ (তালা), বিপ্লব হোসেন (ফুটবল), আদর আলী (বৈদ্যুতিক পাখা), ইছাহক মিয়া (টিউবওয়েল), আব্দুল আলীম (মোরগ) ও জাকির হোসেন (ভ্যানগাড়ি), ৫ নং ওয়ার্ডে আশরাফ আলী (ফুটবল), আনারুল ইসলাম (টিউবওয়েল), আরজাম হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা) ও নবাব ইমরান হাসান (মোরগ), ৬ নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমান (ফুটবল), আছাদ মিয়া (টিউবওয়েল), রহমবারী (মোরগ) ও আলাউদ্দীন (তালা), ৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুল কাদের (বৈদ্যুতিক পাখা), জালাল মিয়া (টিউবওয়েল), ছলিম উদ্দীন (ভ্যানগাড়ি), কামরুল ইসলাম (মোরগ), আয়াতুল হক (আপেল), আমির হোসেন (ফুটবল) ও বজলুর রহমান (তালা), ৮ নং ওয়ার্ডে মইন উদ্দীন (বৈদ্যুতিক পাখা), নজরুল ইসলাম (মোরগ), আমিনুল ইসলাম (ফুটবল) ও সাইদুল ইসলাম পণ্ডিত (টিউবওয়েল) এবং ৯নং ওয়ার্ডে আব্দুস সালাম (তালা), শওকত আলী (মোরগ), মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ইশাবুল ইসলাম মিল্টন (ফুটবল) ও ফরিদ হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।