ইউপি নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গায় ১২৯ জন সাংবাদিক পরিচয়ে পর্যবেক্ষক কার্ড সংগ্রহ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় পঞ্চম দফা নির্বাচনে সাংবাদিক পরিচয়ে ৪৩টি পর্যবেক্ষক কার্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয় সাংবাদিদের পরিচয়পত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, পরিচয়পত্র ও কর্মস্থল যাচাই করে তিনজনের পরিচয় ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে সাংবাদিক পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করেনি জেলা নির্বাচন অফিস।

ভূয়া প্রমাণিত তিনজন হলেন, ঢাকার আজকের নতুন খবরের বার্তা সম্পাদক পরিচয়দানকারী সাজ্জাদ হোসেন শান্ত, একই কাগজের পরিচয়দানকারী রিপোর্টার এসএম শাফায়েত উল্লাহ এবং শেখ জিহাদী ইসলাম।

চারদফা নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গায় মোট ১৩৭ জন সাংবাদিক পরিচয় সংগ্রহের জন্য আবেদন করলেও বিভিন্ন কারণে ৮ জনের পরিচয়পত্র প্রদান করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৬টি পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে। প্রথম পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোনো ইউনিয়নে ভোট হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আলোকদিয়া, মোমিনপুর, পদ্মবিলা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সীমানা জটিলতায় বেগমপুর, তিতুদহ ও শংকরচন্দ্র ইউপির নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এ সময় নির্বাচন কমিশন ৫১ জন সাংবাদিকের পরিচয় ইস্যু করে।

তৃতীয় পর্যায়ে গত ২৩ এপ্রিল আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি, ডাউকি, কালিদাশপুর, জামজামি, জেহালা ও খাসকররা ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় নির্বাচন কমিশন ৪৩ জন সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ইস্যু করে।

চতুর্থ পর্যায়ে গত ৭ মে আলমডাঙ্গার বাড়াদী, চিতলা, ভাংবাড়িয়া, গাংনী, খাদিমপুর ও কুমারী ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় নতুন করে কোনো পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি।

পঞ্চম পর্যায়ে  ২৮ মে দামুড়হুদা সদর, জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ালগাছি এবং জীবননগরের সীমান্ত ও আন্দুলবাড়িয়া ইউপিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৪৩ জন সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি নির্বাচন হঠাৎ করে গত ১৯ মে স্থগিত করা হয়।

ষষ্ঠ পর্যায়ে আগামী ৪ জুন নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোনো ইউপির নাম তালিকায় নেই।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, চলতি ইউপি নির্বাচনে সাংবাদিক পরিচয়ে ১৩৭ জন সাংবাদিক পর্যবেক্ষক কার্ডের জন্য আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ জনের পরিচয়পত্র দেয়া সম্ভব হয়নি। সাংবাদিক পরিচয়দানকারী পত্রিকার সম্পাদককের সাথে কথা বলেছি তিনি তিনজনের মধ্যে দুজনকে তার সাংবাদিক নয় বলে জানিয়েছেন। আর একজন ঢাকার বলে তাকেও দেয়া সম্ভব হনি।