স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মাসের মধ্যে যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করবেন না, তাদের সেই সিম দুই মাস বন্ধ থাকবে। দুই মাস পর টাকা দিয়ে নতুন করে সেই সিমটি কিনতে হবে। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। সচিবালয়ে কলড্রপে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে মোবাইলফোন অপারেটরদের সাথে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। ৩১ মে জিরো আওয়ার থেকেই এ সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো টানা দুই মাস, অর্থাৎ আগস্টের আগে আর কেনা বা উঠানো যাবে না। দুই মাস পর সেই সিমগুলো কিনে নিতে হবে গ্রাহককে। তবে প্রবাসী গ্রাহকের ক্ষেত্রে অনিবন্ধিত সিম কেনার সুযোগ থাকছে ১৫ মাস, এ জন্য প্রবাসীদের দেশে ফেরার প্রমাণ (এরাইভাল সিল) দেখাতে হবে। বিটিআরসির গত বছরের মার্চে দেয়া এক নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো সিম বন্ধ হয়ে গেলে সেই সিম ১৫ মাসের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এরপর মালিক আর সিমটির মালিকানা দাবি করতে পারেন না। তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হাতে থাকা ১৩ কোটি মোবাইল সিমের মধ্যে ১৫ মে সকাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৪০ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। অপরাধমূলক কাজে মোবাইলফোন ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হলেও পরে তা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের পর একজন গ্রাহক কতোটি মোবাইল ফোন সিমের মালিক তা তাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, একজন গ্রাহকের জানার অধিকার রয়েছে তিনি কতোটি সিমের মালিকানায় রয়েছেন।