দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর স্কুল বটতলার ঐতিহ্যবাহী ২শ বছরের পুরোনো বটগাছটি বয়সেরভারে হেলে গেছে। মাটি থেকে আলগা হয়ে গেছে গাছের শিকড়। ৪টি বড় বোয়া কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে গাছটিকে। ফলে বড় ধরনের ঝড়ে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে ওই বুড়ো বটগাছটি। চুয়াডাঙ্গা-যশোর মহাসড়কের ধারে ওই গাছটির সামনেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাছটি ভেঙে পড়ে স্কুলের কোমলমতি শিশুছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ওই সড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শ শ যানবাহন চলাচল করে। গাছটি হেলে থাকায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই বুড়ো বটগাছটি জরুরিভিত্তিতে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর ডাক্তারপাড়া সংলগ্ন দামুড়হুদা-দর্শনা সড়কের ধারে পথচারীদের ছায়ার কথা মাথায় নিয়ে প্রায় ২শ বছর আগে একটি বটের চারা রোপণ করা হয়। ধিরে ধিরে ওই বটের চারাটি একদিন এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় বটগাছ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ওই জায়গাটিকে জয়রামপুর বটতলা বাসস্ট্যান্ড নামকরণ করা হয় এবং সড়কের পশ্চিম দিকে গড়ে তোলা হয় প্রাইমারী স্কুল। পরবর্তীতে যার নামকরণ করা হয় জয়রামপুর স্কুলবটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সম্প্রতি পুরোনো ওই বটগাছটি বয়সের ভারে অনেকটাই হেলে পড়েছে। দেখা দিয়েছে প্রাণহানির আশঙ্কা।
এ বিষয়ে জয়রামপুর স্কুলবটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা আকতার জানান, বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৫শ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। গাছটি ভেঙে পড়লে স্কুলভবনসহ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে গাছটি জরুরিভিত্তিতে কেটে ফেলা প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, গাছটি কেটে ফেলার বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমানকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ওই বুড়ো বটগাছটি জরুরিভিত্তিতে অপসারণের দাবি জানালেও প্রায় ২শ বছরের ঐতিহ্যবাহী বটগাছটি পুরোপুরি কেটে না ফেলে গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা ছেটে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গাছটির বয়স কতো তা সঠিকভাবে কেউ বলতে না পারলেও কমপক্ষে ২শ বছর হবে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।