আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের হুজুর আলী আহাম্মদ আলমডাঙ্গায় মেয়ে নিয়ে ফুঁর্তি করতে এসে ফেঁসে গেছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে আলমডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে হুজুর আলী আহম্মেদ নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক অষ্টাদশিকে নিয়ে হোটেলে উঠেন। সে সময় হোটেলমালিক তাদের সম্পর্ককে সন্দেহ করলে মেয়েটি হুজুরের নিকট থেকে ৮শ’ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঠানপাড়ার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে হাফেজ আলী আহম্মেদ তিয়ানশি বাংলাদেশ কোম্পানি নামক একটি ব্রোকারি কোস্পানির পরিবেশক। হাফেজ আলী আহম্মদ চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থান করে আলমডাঙ্গা এলাকার হারদী ও আসমানখালীর মানুষের নিকট তার কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনেযোগে আলমডাঙ্গায় আসেন। আসার পথে পূর্ব পরিচিত নাটোরের আব্দুল্লাহপুর থেকে শিউলী খাতুনকে ট্রেনে সহযাত্রী করে নেন। তারা গতকাল শুক্রবার ভোরে স্টেশনে নেমে সরাসরি আলমডাঙ্গা আবাসিক হোটেলে এসে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কক্ষ ভাড়া করেন। সকাল ৮টার দিকে দুজন নাস্তা করতে বের হন। পরে শিউলী খাতুনকে ছাড়াই আলী আহম্মেদ হোটেলে ফিরে মালামাল নিয়ে চলে যেতে চাইলে হোটেল মালিক বাবুর সন্দেহ হয়। তিনি থানা পুলিশকে জানালে আলী আহম্মেদকে থানায় নেয়া হয়। এরপরই বেরিয়ে আসে আলী আহম্মেদ হুজুরের আসল চেহারা।
থানায় আটকা পড়া আলী আহম্মেদ জানান, স্ত্রী পরিচয় দেয়া শিউলী আসলে তার স্ত্রী নয়। চাকরির সুবাদে বেশীরভাগ সময় তাকে বাইরে বাইরে থাকতে হয় বলেই তিনি শিউলী খাতুনকে মাঝে মাঝে সঙ্গী হিসেবে কাছে টানেন। গতকাল তিনি আব্দুল্লাহপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে আলমডাঙ্গায় এসেছিলেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আলী আহম্মেদের কোম্পানির দু পরিবেশক চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাটের ফরজান আলীর ছেলে নাজমুল ও ভেড়ামারার মালিপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মোর্শেদ থানায় এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।