ঝন্টুর জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার: এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছিলেন, কীভাবে কাজী আরেফকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিলো।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার ১৪/১৫ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার আঠারোখাদা গ্রামের একটি বাড়িতে একটি বৈঠক হয়, তাতে লান্টু, মান্নান মোল্লাসহ কয়েকজন ছিলেন ওই বৈঠকে। মান্নান মোল্লারও মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এই হত্যামামলার চূড়ান্ত রায়ে। তবে তিনি এখনও পলাতক। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঝন্টু কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে লাল্টু বাহিনীর দু সদস্য তার হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ওই চিঠিতে লেখা ছিলো- পত্রবাহকের সাথে যাবেন এবং ছোট্ট একটা অপারেশন করে আসবেন। এরপর অন্যদের সাথে নিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে তালবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে উঠেন ঝন্টু। পরদিন বিকাল ৪টার দিকে কালিদাসপুরে জনসভা মাঠের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানান ঝন্টু।
তিনি বলেন, তারা প্রথমে সভাস্থল লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছুড়লে অনেকে ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা মঞ্চে উঠে কাজী আরেফসহ ৫ জনকে হত্যা করে চুয়াডাঙ্গার আঠারোখাদা গ্রামে ফিরে যান।

Leave a comment