মাথাভাঙ্গা মনিটর: নিজে দারুণ ফর্মে আছেন। দলও ম্যাচ জিতেছে আয়েশ করে। বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন ক্রিস গেইল। এমন সময় একটু মজা করতেই পারেন তিনি। কিন্তু তাই বলে সরাসরি সম্প্রচারের মাঝে ডেটিঙের আমন্ত্রণ দিয়ে বসাটা একটু বাড়াবাড়িই। এক নারী টিভি সাংবাদিককে লাইভে একেবারে অভিসারের প্রস্তাব দিয়ে ফেঁসে গেছেন এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা। গতকাল বিগ ব্যাশে হোবার্ট হ্যারিকেনকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে গেইলের দল মেলবোর্ন রেনেগেডস। ১৫ বলে ৪১ রানের ঝড় তুলে তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গেইল নিজে। ম্যাচ শেষে তাই তার ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে আসেন অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল টেন’র রিপোর্টার মেলানি ম্যাকলাফলিন। কিন্তু গেইল অতো শাদামাটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহ দেখালেন না। সরাসরি প্রস্তাব দিয়ে বসলেন, প্রথমবারের মতো তোমার চোখ দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। আশা করি একটু পরে দুজনে কোথাও হালকা ড্রিংক করতে যেতে পারবো। লজ্জা পেয়ো না। ম্যাকলাফলিন অবশ্য গেইলের এমন হেঁয়ালিকে পাত্তাই দিলেন না, আমি লজ্জা পাচ্ছি না বলে। তারপর খেলা নিয়েই কথা বলেছেন দুজন। ম্যাকলাফলিন পাত্তা না দিলেও বিগ ব্যাশ কমিটি কিন্তু ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। টুর্নামেন্টের প্রধান অ্যান্থনি এভারার্ড বললেন, আমরা অবশ্যই তার (গেইল) সাথে কথা বলবো। রেনেগেডসের সাথেও এ নিয়ে কথা বলতে হবে। বিবিএলে কিংবা ক্রিকেটে এ ধরনের আচরণের স্থান নেই।
টুইটারেও এ নিয়ে ঝড় উঠে গেছে। যেখানে সাবেক ক্রিকেটাররাও অংশ নিয়েছেন। ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ যেমন টুইট করলেন, এ কাজ করে গেইল নিজেকে খাটো করেছেন। স্টার স্পোর্টসও তাদের পেজে এ নিয়ে টুইট করতে ছাড়েননি। তবে অস্ট্রেলিয়ান নারী হকি খেলোয়াড় জর্জিয়া পার্কার কিন্তু গেইলের এ আচরণকে নির্দোষ মজা হিসেবেই নিতে বলেছেন। নিজের টুইটারে সে কথা জানিয়ে একটু মজাও করে নিলেন তিনি, ভবিষ্যতে কোনো পুরুষ সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে এলে আমি গেইলের কাজটিই করবো। আমি নিশ্চিত তখন কেউ এ নিয়ে একটা কথাও বলবে না। সবাই একটু শান্ত হন।