২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ : আ.লীগ ১৭২ বিএনপি ২২ জামায়াত ২ স্বতন্ত্র ২২

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশনের আশাবাদ সত্ত্বেও দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাণহানি এড়ানো যায়নি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রাণ গেছে একজনের। বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। সংঘর্ষ, গুলি, বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট ও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষে রাত ১১টা পর্যন্ত ২২৬ মেয়র পদের ২১৬ টির ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৭০, বিএনপি ১৯, জাতীয় পার্ট ১, জামায়াতে ইসলামী ১, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র ২৫ জন মেয়র পদে জয় লাভ করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল ২৩৪টিতে ভোট শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত মেয়র পদে ২২৬ এবং কাউন্সিলর পদে ২৩৩ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ হাজার ৫৪৩টি কেন্দ্রে ভোট হয়। এর আগে ৭টি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের সাত প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হন। এছাড়া গতকাল সংঘর্ষের কারণে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ভোট হয় মোট ২২৬ পৌরসভায়। এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে পুলিশের ৫ কর্মকর্তা এবং এনএসআইর এক সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সারাদেশে অনিয়ম আর সহিংসতার মধ্যে দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর ফলাফল আসতে শুরু করেছে। দেশে মোট ২৩৪টির মধ্যে ২১৮টি পৌরসভার বেসরকারি ফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ ১৭২, বিএনপি ২২, জামায়াত ২ ও ২২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা: আশরাফুল ইসলাম (বিদ্রোহী, মেহেরপুর, গাংনী), এজিএম বাদশা (বিদ্রোহী, ধুনট, বগুড়া), মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়া (বোয়ালমারী, ফরিদপুর), হাসিনা গাজী (তারাব, নরসিংদী), সুভাস চন্দ্র (বানারীপাড়া, বরিশাল), আলমগীর হোসেন (রানীসংকৈল, ঠাকুরগাঁও), সনাৎ কুমার বিশ্বাস (চালনা, খুলনা), রায়হান উদ্দিন মিয়া (নগরকান্দার, ফরিদপুর), জাফরউল্লাহ টিটু (সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম), এনামুল হক (মিরপুর, কুষ্টিয়া), শামসুজ্জামান (কুমারখালী, কুষ্টিয়া), বিপুল হাওলাদার (কলাপাড়া, পটুয়াখালী), আব্দুল বারেক (কুয়াকাটা, বরগুনা), আব্দুল কাদের মির্জা (বসিরহাট, নোয়াখালী), আব্দুল্লাহ আল মামুন (সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা), বদিউল আলম (সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম), আব্দুল কায়ের (রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর), ধীরেন্দ্র লাল সাহা (মাধরপুর, হবিগঞ্জ), আবু হানিফ (শফিপুর, টাঙ্গাইল), শাহাদাত হোসেন (মির্জাপুর, টাঙ্গাইল), দেওয়ান সেকার (সদর, নওগাঁ), গোলাম মাহফুজ (আক্কেলপুর, জয়পুরহাট), কামরুজ্জামান (বাঘারপাড়া, যশোর), গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই, চট্টগ্রাম), আওলাদ খান (শিবচর, মাদারীপুর), হায়দার আলী (নড়িয়া, শরীয়তপুর), মতিয়ার রহমান (দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা), রেজাউল কবির (নজিরপুর, নওগাঁ), হালিমুল আলম (কালাই, জয়পুরহাট), সেলিম জাহাঙ্গীর (পাইকগাছা, খুলনা), ওমর ফারুক (দাগনভূঞা, ফেনী), শামসুল হক (মাটিরাঙা, খাগড়াছড়ি), জান্নাতুল ফেরদৌস (সিংগাইর, নাটোর), আলী আকবর (কালিহাতী, টাঙ্গাইল), দেবাশীষ পাতিল (রাউজান, চট্টগ্রাম), মিজানুর রহমান মিজান (চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা), আনিসুর রহমান, (শিবপুর, গাজীপুর), সুরুজ ব্যাপারী (জাজিরা, শরীয়তপুর), সুভাষ চন্দ্র শীল (কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ), উত্তম কুমার সাহা (বদরগঞ্জ, রংপুর), মো. নিজাম উদ্দিন ওলিউল্লাহ (কানাইঘাট, সিলেট), ফজলুর রহমান (সদর, মৌলভীবাজার), অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন (মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা), মওলানা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (দুর্গাপুর, নেত্রকোনা), জাকির হোসেন তালুকদার, (দৌলতখান, ভোলা), শফিক জাহেদী রবিন (মেলান্দহ, জামালপুর), তসলিম উদ্দিন চৌধুরী (নলছিটি, ঝালকাঠি), আবুল কালাম আজাদ (ঈশ্বরদী, পাবনা), হাজি নিজামউদ্দীন (কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ), খুরশিদ হায়দার টুটুল (সদর, মাগুরা), মোস্তফা সালাহউদ্দিন (পাটগ্রাম, লালমনিরহাট), রিয়াজুল ইসলাম (সদর, লালমনিরহাট), আনোয়ার হোসেন আকন্দ (পাথরঘাটা, বরগুনা), শাহাদাত হোসেন (সদর, বরগুনা), মো. মনিরুজ্জামান (সদর, ভোলা), শফিক-উজ্জামান (মুলাদি, বরিশাল), শাজাহান শিকদার (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম), তাকজিল খলিফা (আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), জামিল হোসেন চলন্ত (হাকিমপুর, দিনাজপুর), মঞ্জুরুল ইসলাম (ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল), কাজী আশরাফুল (শৈলকুপা, ঝিনাইদহ), শাহনেওয়াজ আলী (গুরুদাসপুর, নাটোর), হাসান কাদির (আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা), নূর উদ্দিন (চৌগাছা, যশোর), আবু বকর সিদ্দিক (নালিতাবাড়ী, শেরপুর), খলিল হোসেন (সদর, মাদারীপুর), কাজী মাহমুদুল (মনিরামপুর, যশোর), খলিল উদ্দিন (জকিগঞ্জ, সিলেট), সেলিমুল হক (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম), আব্দুল মজিদ (কাকনহাট, রাজশাহী), মুক্তার আলী (আড়ানী, রাজশাহী), আব্দুল কাইয়ুম (হোসেপুর, কিশোরগঞ্জ), গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া (সদর, শেরপুর), আব্দুল ওয়াহাব (সুজানগর, পাবনা), গোলাম কবির (স্বরূপকাঠী, পিরোজপুর), আব্দুল মালেক (ভবানীগঞ্জ, রাজশাহী), শামীমুল ইসলাম (ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া), রফিকুল ইসলাম (কেশবপুর, যশোর), আবুল কালাম আজাদ (তাহেরপুর, রাজশাহী), তোফাজ্জল হোসেন (দুর্গাপুর, রাজশাহী), কাজী লিয়াকত (সদর, গোপালগঞ্জ), আবু সাঈদ (শ্রীবরদী, শেরপুর), তরিকুল ইসলাম (খোকসা, কুষ্টিয়া), সহিদুজ্জামান (কেশরহাট, রাজশাহী), মোহাম্মদ আলী (সদর, রাজবাড়ী), মাসুদ বিশ্বাস (পাংশা, রাজবাড়ী), ফখরুল আলম (ভৈরব, কিশোরগঞ্জ), উমা চৌধুরী (সদর, নাটোর), হেলাল উদ্দিন (কাহালু, বগুড়া), আব্দুল জলিল (সদর, কুড়িগ্রাম), শাহিনুর রহমান (হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ), রফিকুল ইসলাম (গৌরীপুর, ময়মনসিংহ), আব্দুল্লাহ আল পাঠান (রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ), তৌহিদুর রহমান (শিবগঞ্জ, বগুড়া), মো. কামরুজ্জামান (ফরিদপুর, পাবনা), গোলাম হাসনাইন (ভাঙ্গুরা, পাবনা), একেএম ইউসুফ আলী (হাতিয়া, নোয়াখালী), ইকবাল হোসেন (গফরগাঁও, ময়মনসিংহ), মেজবা উদ্দিন (রামগতি, লক্ষ্মীপুর), আব্দুস সাত্তার (শেরপুর, বগুড়া),
বিএনপির বিজয়ীরা: গাজী আখতারুল ইসলাম (কলারোয়া, সাতক্ষীরা), তাসকিন আহমেদ চিশতি (সাতক্ষীরা সদর), নজরুল ইসলাম (গোপালপুর, নাটোর), তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী (নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ), মির্জা ফয়সাল আমীন (সদর, ঠাকুরগাঁও), সাইফুল ইসলাম (গাবতলী, বগুড়া), জাহিদুল ইসলাম (কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ), ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী (জলঢাকা, নীলফামারী), তৌহিদুল ইসলাম (সদর, পঞ্চগড়), আমিনুল হক (ময়মনসিংহ, ফুলপুর), শহীদুল ইসলাম শহীদ (মুক্তাগাছা)
জামায়াতে ইসলামী (স্বতন্ত্র): মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ (বীরগঞ্জ, দিনাজপুর)
বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী: জাহাঙ্গীর হোসেন (চুয়াডাঙ্গা জীবননগর), ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু (চুয়াডাঙ্গা সদর) রফিকুল আলম (সদর, খাগড়াছড়ি), গাজী কামরুল হুদা সেলিম (সদর, মানিকগঞ্জ), আব্দুল হান্নান তালুকদার (মদন, নারায়ণগঞ্জ), আব্দুল কাইয়ুম (করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ), মর্তুজা সরকার (ফুলবাড়িয়া, দিনাজুপর), আব্দুস সাত্তার (ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ), শেখ নিজাম (গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী), ফকির মুশফিকুর (কালিয়া, নড়াইল), রেজাউল করিম (চাটমোহর, পাবনা)