স্টাফ রিপোর্টার: সাত বছরের ফুটফুটে মেয়ে রিমি তার চাচার বিয়েতে আনন্দ করতে গিয়ে বোকারাম এক দাদার ধরিয়ে দেয়া আগুনে ঝলসে গেছে। রিমিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলার পিরোজখালীর ইউসুব আলীর মেয়ে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিপদটা কতো বড় হতে পারে তা না বুঝেই শিশুর মুখে লাগানো পাটকাঠির ফেসোয় আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রিমি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার ছোট চাচা দেলোয়ার হোসেনের বিয়ে আজ সোমবার। এ বিয়েরই আনুষ্ঠানিকতা চলেছে গত দু দিন ধরে। ক্ষীর খাওয়ানোর আয়োজনে শিশু রিমি নিজের মুখে ফেসো তথা কুষ্টার আঁশ বেঁধে দাঁড়ি বানিয়ে ভিক্ষুক সাজে। সকলকে আনন্দ দেয়। সন্ধ্যায় রিমি যখন সকলকে মাতিয়ে তোলে তখনই তার এক প্রতিবেশী দাদা কাছে ডাকে। বিপদ না বুঝেই কাছে থাকা গ্যাসলাইট দিয়ে মুখে বাঁধা ফেসোতে ধরিয়ে দেয় আগুন। মুহূর্তের মধ্যেই রিমির মুখমণ্ডলের অর্ধেকের বেশি ঝলসে যায়। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। মৃত্যু ঝুঁকি না থাকলেও সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ কিছুদিন লেগে যাবে। মুখের পোড়া দাগ? সারাটা জীবনই হয়তো বয়ে বেড়াতে হবে শিশু রিমিকে।