১৯৫ পাকিস্তানি সেনার যুদ্ধাপরাধের তদন্ত হবে

মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত যুবকের পরিচয় মেলেনি : লাশ দাফন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর চকপাড়া এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত যুবকের পরিচয় এখনো মেলেনি। কোনো স্বজন না আসায় গতকাল রোববার দুপুরে নগরের লক্ষ্মীপুরে একটি বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে ওই যুবকের লাশ দাফন করা হয়। মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ওই যুবক বোমা বহনকারী ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে ছিলো। গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত কেউ লাশ নিতে না আসায় দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশের হাতের আঙুলের ছাপসহ প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার মহাখালীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে মসজিদে ওই হামলায় একজন নিহত ও ৩ জন আহত হন।

১৯৫ পাকিস্তানি সেনার যুদ্ধাপরাধের তদন্ত হবে
স্টাফ রিপোর্টার: মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়া ১৯৫ সেনা সদস্যের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ২ মামলায় ৮ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান এ কথা জানান। পরে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ চলছে, প্রক্রিয়া চলমান আছে। অন্যান্য মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এ বিষয়েও তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে সরকারের দিকনির্দেশনার প্রয়োজন আছে। ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে এবং দিক-নির্দেশনা পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক ১৯৫ সেনা সদস্যকে ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় বিচারের মুখোমুখি করার শর্তে ফেরত নেয় পাকিস্তান। এরপর ৪৪ বছর পার হলেও তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়নি দেশটি।

অবশেষে ছুটিতেও খোলা থাকছে রাবির হল
স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শীতকালীন ছুটিতেও আবাসিক হল খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভায় আগামী ১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটির সময়েও সব আবাসিক হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রউপদেষ্টা প্রফেসর ছাদেকুল আরেফিন। তিনি জানান, প্রতিবারের মতো এবারও শীতের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ দুপুরে জরুরি সভায় বসে। সভায় আবাসিক হল খোলা রাখার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।