মেহেদী হাসান সবুজ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর ওপর ৪৮ দশমিক ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাশীপুর ব্রিজের দু পাশে কোনো রাস্তা তৈরি না হওয়ায় ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না। ২০০২-০৩ অর্থ বছরে ৬০ দশমিক ০৫ মিটার ব্রিজটির কাজ শেষ হলেও মাত্র ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের অভাবে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, জেলা শহরের সাথে সহজে যোগাযোগের লক্ষ্যে হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশটিয়া ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের মাঝদিয়ে বয়ে চলা নবগঙ্গা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের উভয় পাশে পাকা সড়ক নির্মাণ না করায় একযুগ পেরিয়ে গেলেও কোনো কাজেই আসেনি ব্রিজটি। এখন শুধু ধান ও পাট শুকানোর কাজেই ব্যবহৃত হয় ব্রিজটি। মাত্র ৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৭টি গ্রামের মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। বর্ষাকালে গ্রাম থেকে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, পান, সবজি, পাট বিক্রি করতে নিয়ে যেতে পারে না গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে সাবেক মেম্বার সাদ আহম্মেদ বলেন, ব্রিজের দু পাশের ৪ কিলোমিটার রাস্তার অভাবে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়। ডিজিটাল যুগে এ যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সরকার যায় এমপি বদলায়, কিন্তু দুর্দশা কাটে না নাটাবাড়িয়া, দারিয়াপুর, পলেনপুর, রূপদা, সাখেরিদাহসহ আশেপাশে গ্রামবাসীর।
হলিধানী বাজার কমিটির সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম বলেন, নাটাবাড়িয়া গ্রামের, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি এই ব্রিজ ও ব্রিজের দু দিকের পাকা রাস্তা করার। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছরেও সে দাবি পূরণ হয়নি। রাজনীতিবিদরা অনেক প্রতিশ্রতি দেয়ার পরও তারা কথা রাখেননি।